নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করবে। এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। এর মধ্যে অন্যতম রপ্তানি খাত। তাই এখনই এলডিসি-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণে নজর দিতে হবে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের প্রস্তুতি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এই মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান।
সেলিম রায়হান বলেন, ২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি সুযোগও তৈরি হবে। তবে সেগুলো মোকাবিলার জন্য আমাদের যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন একান্ত অপরিহার্য। নীতি সহায়তা ও সংস্কার, অর্থায়ন, লজিস্টিক খাতের উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি এবং আর্থিক খাত চ্যালেঞ্জগুলো এর মধ্যে অন্যতম।
তিনি বলেন, গত পাঁচ দশকে আমাদের রপ্তানি বাড়লেও রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে রয়েছে। যেখানে আমাদের প্রতিযোগী দেশগুলোর অগ্রগতি অনেক বেশি। মুদ্রানীতি এবং অর্থবিষয়ক নীতিমালার সমন্বয়, সরকারি সংস্থাসমূহের সক্ষমতা বাড়ানো, খেলাপি ঋণ হ্রাস এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাজারের নির্ভরতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো এলডিসি-পরবর্তী সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাণিজ্যবিষয়ক লজিস্টিক সেবা প্রদানে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে রয়েছে। যার উত্তরণ অপরিহার্য। একইসঙ্গে শিল্প খাতের ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তা নিরিখে মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের ওপর তিনি জোরারোপ করেন।
সেলিম রায়হান বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের মুদ্রানীতির কার্যকারিতা তেমন পরিলক্ষিত হয়নি। এ অবস্থায় পরিস্থিতি বিবেচনায় আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। একইসঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে নির্ধারণের আরও সচেতন হতে হবে। আর বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে এসইজেডসমূহে সব ধরনের সেবা প্রাপ্তি এবং ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।