চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশ বাদী সংগঠন গ্রীন ভয়েজের উদ্যোগ নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অফ মর্ডান লেঙ্গুয়েজের (আইএমএল) সেমিনার রুমে মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও নজরুল ইসলাম রায়হানের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মাননীয় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান
প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরীয়া এবং বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড.
শেখ সাদী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে এক সময় প্রকৃতির রানী বলা হতো। অথচ সবুজে ঘেরা আমাদের এই প্রাণের ক্যাম্পাস প্রতিনিয়ত দূষিত হয়ে চলেছে আমাদেরই দ্বারা। আমার প্রাণপ্রিয় নবীন ছাত্র-ছাত্রীরা, আমি চাই তোমাদের দ্বারা আবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস তার পুরনো খ্যাতি ‘প্রকৃতির রানী’ নামটি ফিরে পাক। নবীনদের কন্ঠে জেগে উঠুক সবুজের জয়গান। তোমরা এখানে যারা আছো, তোমরা শুধু এই ক্যাম্পাসের ২৬ হাজার শিক্ষার্থী নয়, পুরো ১৮ কোটি মানুষের পরিবর্তন এনে দেওয়া সম্ভব।’
২০২২-২০২৩ সেশন নবীন শিক্ষার্থী
শারমীন আক্তার তার অনুভুতি প্রকাশ করে বলেন, এই পরিবেশ বাদী সংগঠনে এসে আমার খুব আনন্দ লাগলো। আমি নিজেও এই সংগঠনের সক্রিয় একজন সদস্য। আজকে এই সংগঠন থেকে নবীনদের বরণ পেয়ে আরও ভালো লাগছে। আমি গ্রীন ভয়েজ সংগঠনের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সম্পর্কে জানতে চাইলে আরেক শিক্ষার্থী মো.তানভীর হাসান বলেন, গ্রীন ভয়েস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর নবীন সদস্য হয়ে নিজেকে মাঠপর্যায়ের কর্মী হিসেবে নিয়োজিত করার চেষ্টা করছি। আজকে গ্রীন ভয়েজ থেকে নবীন বরণ পেয়ে খুব আনন্দ লাগতেছে। আমি মনে করি পরিবেশ নিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি সেক্টরে গ্রীন ভয়েজের কার্যক্রম চালু রাখার প্রত্যাশা রাখি,এতে আমাদের সচেতনতা বাড়বে আসবে ইতিবাচক পরিবেশ পরিবর্তন।
সভাপতি মনির হোসেন বলেন, আমরা আমাদের লক্ষ্যকে সামনে রেখে চলতে হবে। আমরা পরিবেশকে রক্ষা করতে সর্বোচ্চ সচেতন থাকবো। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ি যার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রীন ভয়েজের কাজ সীমাবদ্ধ না রেখে গ্রাম পর্যায়ও পৌঁছাতে হবে। কারণ আমাদের গ্রামগুলো পরিবেশ সম্পর্কে এখনও অসচেতন।