নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বাস ভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ফারাহা দিবা ছন্দার আদালত এই আদেশ দেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত। এরপর মামলাটির পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি ও সম্পত্তি ক্রোকের আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত সেই আবেদনও মঞ্জুর করেন।’
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মুজাহিদ হাসান ফাহিম নামের এক ক্রেতা ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পাঁচ লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেল অর্ডার করে মূল্য পরিশোধ করেন। বাদীর কেনা মোটরসাইকেল যথাসময়ের মধ্যে (৪৫ কার্যদিবস) দিতে ব্যর্থ হলে মুজাহিদ হাসান ফাহিম ইভ্যালির ধানমন্ডির অফিসে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে মোটরসাইকেল কেনা বাবদ টাকা পরিশোধের জন্য চেক দেয়া হয়। ওই বছরের ২৩ আগস্ট ইভ্যালি থেকে ফোন দিয়ে ফাহিমকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ নেই। নগদায়নের জন্য চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করা হয়, চেকের অর্থ পরে পরিশোধের নিশ্চয়তাও দেয়া হয়।
ওই চেক নগদায়নের জন্য রাসেল ও শামীমা নাসরিনকে বারবার তাগাদা দেন মুজাহিদ হাসান ফাহিম। তারা টাকা দিতে কালক্ষেপণ করে চেকের মেয়াদ অতিক্রম করান।
ফাহিমের অভিযোগ, ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারম্যান বিশ্বাস ভঙ্গ এবং প্রতারণামূলকভাবে তার কেনা মোটরসাইকেলের টাকা আত্মসাতের জন্য এমন কাজ করেছেন। এ ঘটনায় ফাহিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
