রেমালের কারণে ১৯ উপজেলার ভোট স্থগিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত ও দুর্গত এলাকা বিবেচনায় দেশের ১৯ উপজেলা পরিষদের ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এর মধ্যে ১৮টি উপকূলীয় উপজেলা এবং একটি পার্বত্য উপজেলার। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোথাও পানি ঢুকেছে, কোথাও বিদ্যুৎ নেই, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাই নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোট হবে আগামীকাল বুধবার। এখন ১৯টি বাদ দিয়ে ভোট হবে ৯০ উপজেলায়।

স্থগিত উপজেলাগুলো হলোÑশরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মংলা, কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী, মঠবাড়িয়া, তজুমদ্দিন, লালমোহন, রাজাপুর, কাঁঠালিয়া, বামনা, পাথরঘাটা ও বাঘাইছড়ি।

ইসি সচিব বলেন, ‘মাঠপর্যায় থেকে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে ভোট স্থগিতের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভোটের আগে আরও কোনো উপজেলার তথ্য এলে সেগুলোও বন্ধ করা হতে পারে।’

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টি উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পার হন ২২ জন। ২১ মে এ ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ।

এরপর ২৯ মে তৃতীয় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপের ভোট রয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার সুযোগ থাকলেও স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বা মনোনয়ন দেয়নি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ফলে আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচন করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।

অন্যদিকে বিএনপির অল্প কিছু নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়লেও দলটি উপজেলা পরিষদের ভোট বর্জন করেছে।