পুরোনো প্যাকেটে নতুন দামে বিক্রি

এক চিঠিতেই বিএটির পকেটে ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব!

রহমত রহমান: সিগারেট ব্র্যান্ড বেনসন অ্যান্ড হেজেস। উচ্চস্তরের এই সিগারেটের প্যাকেটে মুদ্রিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩১০ টাকা। বাজেটে ঘোষণার আগে ২০ শলাকার এক প্যাকেট বেনসন অ্যান্ড হেজেজ ৮১ শতাংশ হারে রাজস্ব দেয়া হতো ২৫১ টাকা ১০ পয়সা। বাজেট ঘোষণার পরও বেনসন অ্যান্ড হেজেসের প্যাকেটের গায়ে লেখা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩১০ টাকা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ৩২৪-৩২৫ টাকায়। বাজেটে সিগারেটের দাম ও রাজস্ব বাড়ানোর ফলে প্রতি প্যাকেট বেনসন ১৪-১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ৩২৪ টাকার ওপর ৮২ শতাংশ হারে সরকার রাজস্ব পাওয়ার কথা ২৬৫ টাকা ৬৮ পয়সা। কিন্তু রাজস্ব পাচ্ছে ২৫১ টাকা ১০ পয়সা! প্রতি প্যাকেটে ১৪ টাকা ৫৮ পয়সা হাওয়া!

আবার নিম্নস্তরের ডারবি ও ডলিউড। এই সিগারেটের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৯০ টাকা। বাজেটের আগে এই দুই ব্র্যান্ডের ২০ শলাকার সিগারেট বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। এতে ৭৪ শতাংশ হারে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ৬৫ টাকা ১২ পয়সা। বাজেটের পরও প্যাকেটে লেখা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৯০ টাকা। কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। বাজেটে এই সিগারেটের দাম ও রাজস্ব বাড়ানোর প্রতি প্যাকেট ১২ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সরকার রাজস্ব পাচ্ছে ৬৫ টাকাই। অথচ ১০০ টাকার ওপর ৭৬ শতাংশ হারে রাজস্ব পেতো ৭৬ টাকা। প্রতি প্যাকেটে সরকার কম রাজস্ব পাচ্ছে ১১ টাকা। বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড (বিএটিবি) এই দুই ব্র্যান্ডের সিগারেটের প্যাকেটে পুরোনো দাম লেখা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে।

শুধু দুটি নয়, বিএটির ৩৬টি ব্র্যান্ডই পুরোনো প্যাকেটের সিগারেট নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে। অথচ সরকার রাজস্ব পাচ্ছে পুরোনো দামের ওপর। আর পুরোনো প্যাকেটে নতুন দামে বিক্রি চলবে অন্তত পাঁচ মাস। এনবিআর বলছে, প্রতি মাসে অন্তত ১০০ কোটি টাকার বেশি হিসাব করলে দেখা যায়, এই পাঁচ মাসে অন্তত বাড়তি প্রায় ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব বিএটির পকেটে যাবে। বাজেটের পরপরই বিএটি এনবিআরকে একটি চিঠি দেয় যে, নতুন প্যাকেট মুদ্রণ করতে ৯০ দিন লাগবে। সে সময় পর্যন্ত পুরোনো প্যাকেটে সিগারেট বাজারজাত করা হবে। এনবিআর অনুমতি দিক না না দিকÑচিঠি দিয়েই বলে এনবিআর অনুমতি দিয়েছে। আর এই খোঁড়া যুক্তি দিয়ে মাসের পর মাস নতুন দামে পুরোনো প্যাকেটের সিগারেট বাজারজাত করে, যাতে সরকার রাজস্ব পায় না। অভিযোগ উঠেছে, বাজেটের কয়েক মাস আগে বাড়তি উৎপাদন করা সিগারেট ডিস্ট্রিবিউটরদের ভাড়া করা গোডাউনে মজুত করা হয়। আর বাজেটের পর বাড়তি দামেই তা বিক্রি করে রাজস্ব টাকা পকেটে ভরে।

অনুসন্ধান বলছে, সিগারেট কোম্পানিগুলো বিশেষ করে বিএটি বাংলাদেশ বাজেটের তিন-চার মাস আগ থেকে সিগারেটের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়। প্রতি মাসে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি সিগারেট উৎপাদন করা হয়। সেই সিগারেট রাজস্ব পরিশোধ করে ফ্যাক্টরি থেকে বের করা হয়। আর সেই সিগারেট চলে যায় ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলারদের ভাড়া করা গোডাউনে। সিগারেটের রাজস্ব বাড়বেÑতা কয়েক মাস আগে সিগারেট কোম্পানি খবর পেয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। মূলত সিগারেট ফ্যাক্টরি থেকে বের করার সময় রাজস্ব পরিশোধ করতে হয়। যে সময় উৎপাদন করা হয়, ওই সময়ের সরকার নির্ধারিত দামের ওপর রাজস্ব পরিশোধ করে সিগারেট বের করা হয়। বাজেট ঘোষণার পরপরই যখন দাম বেড়ে যায়, তখন পুরোনো দামের মজুত করা সেই সিগারেট নতুন দামে বিক্রি করা শুরু হয়। এসব সিগারেটের ওপর যেহেতু আগেই রাজস্ব পরিশোধ করা হয়েছে, ফলে সরকার-নির্ধারিত নতুন রাজস্ব পরিশোধ করা হয় না। নতুন দামের ওপর নতুনভাবে নির্ধারিত রাজস্ব আদায় করা হলেও তা সরকারের কোষাগারে যায় না। সবচেয়ে বেশি মজুত ও বাজারজাত করে বিএটি। উল্টো একটি চিঠি দিয়ে এনবিআরের কাছে খোঁড়া যুক্ত দাঁড় করানো হয়। বলা হয়, পুরোনো সিগারেট প্যাকেট রয়ে গেছে। প্রতিদিনের চাহিদা অনুযায়ী এত প্যাকেট তৈরি করা সম্ভব নয়। পুরোনো প্যাকেটে সিগারেট বিক্রিতে এনবিআরের অনুমতি চাওয়া হয়। যদিও মূসক আইন অনুযায়ী এনবিআরের সেই অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই। এই চিঠি দেয়ার পরই এনবিআর অনুমতি না দিলেও অন্তত তিন থেকে চার মাস পুরোনো প্যাকেটে সিগারেট বিক্রি করা হয়। বাজেটের কয়েক মাস আগে যে চাহিদার বাড়তি সিগারেট উৎপাদন করা হয়, তা সিগারেটের রাজস্ব দেখলে অনুমান করা যায়।

বিএটির রাজস্ব পরিশোধের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিএটি চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ৩০ হাজার ৯৭৬ কোটি তিন লাখ টাকা রাজস্ব (ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জ) দিয়েছে। এর মধ্যে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আদায় খুব বেশি বাড়েনি। হঠাৎ জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত রাজস্ব আদায় অন্য মাসের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। অর্থাৎ উৎপাদন আগের কয়েক মাসের চেয়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বাড়তি উৎপাদিত সিগারেট দেশের বিভিন্ন জায়গায় মজুত করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, বিএটি থেকে জুলাই মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে এক হাজার ৭৭ কোটি সাত লাখ টাকা। এছাড়া আগস্ট মাসে দুই হাজার ৮৩০ কোটি তিন লাখ টাকা; সেপ্টেম্বর মাসে তিন হাজার ২২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা; অক্টোবর মাসে দুই হাজার ৬৩০ কোটি ৩২ লাখ টাকা; নভেম্বর মাসে দুই হাজার ৫৬৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা; ডিসেম্বর মাসে দুই হাজার ৮৬ কোটি ৭২ লাখ টাকা। জানুয়ারি মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে তিন হাজার ২৬৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। অর্থাৎ হঠাৎ করে ডিসেম্বর মাসের চেয়ে জানুয়ারি মাসে রাজস্ব বেড়ে গেছে এক হাজার ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ।

একইভাবে ফেব্রুয়ারি মাসে আদায় হয়েছে দুই হাজার ৯৬৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। মার্চ মাসে আদায় হয়েছে তিন হাজার ৩৭২ কোটি এক লাখ টাকা। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসের চেয়ে মার্চ মাসে ৪০৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে। এপ্রিল মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে তিন হাজার ৪১৯ কোটি ১১ লাখ টাকা। অর্থাৎ মার্চ মাসের চেয়ে এপ্রিল মাসে বেশি আদায় হয়েছে ৪৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। আবার সর্বশেষ মে মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে পুরো বছরের চেয়ে বেশি তিন হাজার ৭৩৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ এপ্রিল মাসের চেয়ে মে মাসে বাড়তি রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩২০ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

অপরদিকে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা সিগারেট বিক্রির দোকান ঘুরে দেখে, বেনসন ২০ শলাকার সিগারেট বাজেটের আগে ৩১০ টাকা বিক্রি হতো। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩২৪-৩২৫ টাকায়। তবে এই সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে এমআরপি ৩১০ টাকা লেখা রয়েছে। একইভাবে মালবোরো প্যাকেটের গায়ে ৩১০ টাকা লেখা থাকলেও ৩২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ডারবি ও হলিউড ৯০ টাকার সিগারেট বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, গোল্ডলিফ ২৩৬ টাকার সিগারেট বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়, লাকি ১৬৮ টাকার সিগারেট বিক্রি হচ্ছে ১৭২ টাকায়, রয়েল ১০৮ টাকার সিগারেট বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়, স্টার ১৪০ টাকার সিগারেট বিক্রি হচ্ছে ১৪৩ টাকায় এবং বেনসন অ্যান্ড হেজেস অ্যালকেমি ৩৪০ টাকার সিগারেট বিক্রি হচ্ছে ৩৪৪ টাকায়। মূলত বিএটির ৩৬টি ব্র্যান্ডের সব সিগারেটই প্যাকেটে আগের দাম থাকলেও বিক্রি হচ্ছে নতুন দামে। এছাড়া জেটিআই’র ক্যামেল ১৩৬ টাকার সিগারেট বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, আবুল খায়ের কোম্পানির নেভি ১২৫ টাকার সিগারেট বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

একাধিক বিক্রেতা শেয়ার বিজকে জানিয়েছেন, পুরোনো প্যাকেটে নতুন দামে সিগারেট বিক্রি হবে অন্তত পাঁচ মাস। নতুন প্যাকেট চাইলে ডিস্ট্রিবিউটর ও ডিলারদের লোকজন সিগারেট দিতে চায় না। আর গায়ে পুরোনো দাম থাকলেও সেই দামে বিক্রি করা যায় না। ডিলারদের লোকজনই স্বীকার করেন যে, এই সিগারেট বাজেটের দু-এক মাস আগে উৎপাদন করে মজুত করা হয়।

অপরদিকে বিএটি প্রতিবছর বাজেট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এনবিআরকে একটি চিঠি দেয়, যাতে খোঁড়া যুক্তি দেখানো হয় যে, নতুন প্যাকেট মুদ্রণ করে সিগারেট বাজারজাত করতে ৯০ দিন (তিন মাস) সময় লাগবে। অথচ উৎপাদন ডেটা বলছে, বাজেটের তিন-চার মাস আগ থেকেই চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত উৎপাদন করে তা মজুত করা হয়। আর সেই সিগারেট বাজেটের অন্তত চার মাস পর্যন্ত বাজারে ছাড়া হয়। এনবিআর বলছে, বিএটি এনবিআরকে প্রতিবছর নিয়ম করে চিঠি দেয়। এনবিআর অনুমতি দিক বা না দিক বিএটি আপন মনে পুরোনো প্যাকেটে বাজারজাত শুরু করে। কায়দা করে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে দুবার এনবিআর থেকে বিএটি দুটি চিঠি করে নিয়েছে। এরপর আর কখনও তাদের অনুমতি দেয়নি এনবিআর। তবে চিঠি দিয়ে আপন মনে প্রতিবছর একই কাজ করছে বিএটি। তবে ভ্যাট আইনে এ ধরনের অনুমতি দেয়ার বিধান নেই বলে বলছেন খোদ এনবিআর কর্মকর্তারা। সম্প্রতি বাজেট ঘোষণার পরপরই আবারও একই চিঠি দিয়েছে বিএটি।

বিএটির কোম্পানি সেক্রেটারি অ্যান্ড সিনিয়র লিগ্যাল কাউন্সিল সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বিএটি ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৩১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করেছে। প্রতিবছর সিগারেটের মূল্য অর্থবিলের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়, যা এই বছর অর্থমন্ত্রী ৬ জুন জাতীয় সংসদে পেশ করেন। এনবিআরের আদেশ অনুসারে, ৬ জুনের আগের খুচরা মূল্য মুদ্রিত সিগারেট প্যাকেটে সিল দ্বারা নতুন সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য মুদ্রণ করতে হবে এবং ব্যবহারের জটিলতা পরিহার করার জন্য সিগারেটের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যত শিগগির সম্ভব নতুন সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের প্যাকেট মুদ্রণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বিএটি বাংলাদেশ ও অন্যান্য উৎপাদকদের এত অল্প সময়ের মধ্যে প্যাকেটে নতুন মূল্য মুদ্রণ করার মেশিন নেই। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সিল দ্বারা মুদ্রণের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব নয়। বিএটির সিগারেট তৈরি হয় স্বয়ংক্রিয় এবং উচ্চগতির মেশিন দ্বারা। মেশিনগুলো প্রতি মিনিটে প্রায় ৪০০-৫০০ প্যাকেট উৎপাদন করে থাকে। যদি ম্যানুয়াল মুদ্রণের চেষ্টা করা হয়, তাহলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে এবং রাজস্ব আহরণে ক্ষতি হবে। আরও বলা হয়, এই বাস্তবতা বিবেচনা করে, পুরোনো মূল্য মুদ্রিত প্যাকেট শেষ করে নতুন মূল্য মুদ্রিত প্যাকেট বাজারজাত করতে কমপক্ষে ৯০ দিনের একটি সময়সীমার প্রয়োজন। এনবিআরের মূসক আইন ও নীতি শাখা আগে সমস্ত মুসক অফিসগুলোয় বিএটি বাংলাদেশকে সম্বোধন করে একটি চিঠি জারি করেছিল, যা বাজারে বাধাহীনভাবে মূল্য পরিবর্তন নিশ্চিত করতে আমাদের উল্লেখযোগ্যভাবে সহায়তা করেছিল।

এ বিষয়ে এনবিআরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে শেয়ার বিজকে বলেন, মূসক আইন অনুযায়ী, ফ্যাক্টরি থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজস্ব নেয়া হয়। এই রাজস্বের মধ্যে কোম্পানি ও ভোক্তা পর্যায়ে যাওয়া পর্যন্ত সব ধরনের রাজস্ব রয়েছে। বাজেটের আগে বাড়তি উৎপাদন করা হয় বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, বাড়তি উৎপাদন করলে আমরা বাড়তি রাজস্ব পাই। কিন্তু ভোক্তা পর্যায়ে বাড়তি দামে বিক্রির বিষয় আমাদের তদারকির অংশ নয়, সেটা ভোক্তা অধিকার দেখবে। চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু আইনে নেই বিধায় অনুমতি দেয়া হয় না। তবে পুরোনো সিগারেট মজুত করে নতুন দামে বিক্রির বিষয়ে আমরা খোঁজ নিতে পারি।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এইএইচএম শফিকুজ্জামান শেয়ার বিজকে বলেন, চাহিদার বেশি উৎপাদন করে মজুত করে রাখলে সেটা এনবিআরকে দেখতে হবে। সিগারেটের প্যাকেটে এমআরপি থাকলে বেশি দাম নেয়ার সুযোগ নেই। ভোক্তা ঠকলে অভিযোগ করতে হবে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জানতে বিএটি বাংলাদেশ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ মুনীমের ব্যক্তিগত নাম্বারে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে বক্তব্যের বিষয় লিখে দেয়া হলেও তিনি কোনো জবাব দেননি। এছাড়া বিএটি বাংলাদেশ এর কাছে অফিশিয়ালি বক্তব্য চাওয়া হলেও কোনো বক্তব্য দেয়নি।