নিজ দেশে চাপে আদানি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের আদানি ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে ১০০ কোটি রুপি নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দেশটির তেলেঙ্গারা রাজ্য সরকার। ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে আদানি গোষ্ঠির চেয়ারপারসন গৌতম আদানি অভিযুক্ত হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি বলেছেন, রাজ্যের ‘সম্মান রক্ষার স্বার্থে’ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজ দেশেই চাপে রয়েছে গোষ্ঠীটি। খবর: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

গৌতম আদানি অভিযুক্ত হওয়ার পর তেলেঙ্গানার প্রধান বিরোধী দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) ও ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কড়া সমালোচনার মুখ পড়েছিলেন রেবন্ত রেড্ডি ও রাজ্য সরকার। তাদের অভিযোগ—রাজ্যে আদানির বিনিয়োগ পেতে ব্যবসায়ী গোষ্ঠীটির সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রেবন্তের সরকার। রেবন্ত রেড্ডি বলেন, তেলেঙ্গানার সম্মান ও মর্যাদা রক্ষার জন্য এবং আমাকে ও আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো সমালোচনা এড়ানোর জন্য আমরা আদানির অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছি। আমরা কারও কাছ থেকে একটি রুপিও নিইনি। এ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে গৌতম আদানির অভিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি মাথায় ছিল বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

আদানি যুক্তরাষ্ট্রে অভিযুক্ত হওয়ার পর ভারতের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী তদন্ত করে গৌতম আদানিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া গত সপ্তাহে তেলেঙ্গানার প্রতিবেশী রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু বিধানসভায় বলেছেন, আদানির বিরুদ্ধে অনিয়ম পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাহুল গান্ধী গৌতম আদানিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। গত বুধবার নিউইয়র্কে গৌতম আদানি ও তাঁর সহযোগীদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। এতে বলা হয়, লোভনীয় সরকারি কাজ পেতে তাঁরা ২৫ কোটি ডলারের বেশি ঘুষ দিয়েছেন। এরপর তাঁর কোম্পানির শেয়ার বিক্রির ধুম পড়ে যায়। অন্যদিকে কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে করা বিমানবন্দর ও বিদ্যুৎ-সংক্রান্ত চুক্তি বাতিল করেন। এসব চুক্তির আর্থিক মূল্য ছিল ২৫০ কোটি ডলার।