প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জঃ কতো সাংবাদিকই’তো ছবি তুইল্লা নিছে ব্রীজ হইল কই? নির্বাচন আসলে শুনতাম পাশ করলে এইবার অমুক এমপি, তমুক চেয়ারম্যান নদীর ওপর ব্রীজ কইরা দিবো। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর তাদের আর খোঁজ পাওয়া যায় নাই।
আক্ষেপ নিয়ে কথা গুলো বলছিলেন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টান বলাকী গ্রামের ৭০ বছর বয়সী আব্দুল লতিফ।
জানা যায়, উপজেলা হোসেন্দী ইউনিয়নের টান বলাকী ও চর বলাকী দুই গ্রামের মাঝে সংযোগ স্থলে রয়েছে মেঘনা নদীর শাখা নদী। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে নদীতে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। বছরের পর বছর জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাস আর সান্ত্বনা পেলেও নদীর ওপর একটি সেতু বাস্তবায়ন হয়নি।জরাজীর্ণ কাঠ বাঁশের সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন ওই দুই গ্রামের অন্তত ৫ হাজার মানুষ।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, হোসেন্দী ইউনিয়নের নদীবেষ্টিত চরবলাকী, টানবলাকী ও ভাটি বলাকী গ্রাম। তিন গ্রামের মানুষ চরবলাকী খেয়াঘাট দিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে আসা যাওয়া করে। ভাটি বলাকী ও টান বলাকী গ্রাম কে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে মেঘনা নদীর শাখা নদীটি। ওই নদীর ওপর কাঠ বাঁশের সেতু দিয়ে গ্রামবাসীকে যাওয়া-আসা করতে হয়। জরাজীর্ণ কাঠ বাঁশের সেতুটি সংস্কারে কেউ এগিয়ে না আসায় দুর্ঘটনা এখানে নিত্যদিনের ব্যাপার। গ্রামবাসী নদীর ওপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য দাবি জানানো হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি।
চর বলাকী গ্রামের আছমা বেগম (৫০) জানান, জরাজীর্ণ সেতুটি পারাপারে বেশি সমস্যায় পড়ে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, বয়স্ক মানুষ ও শিশুরা। এই প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে শিক্ষার্থীরা।
টান বলাকী কলেজের শিক্ষার্থী ফাহিমা আক্তার জানান, ঘুনে ধরা কাঠে পা দেবে গেলে আতঙ্কিত হলেও উপায়হীন মানুষকে যেতেই হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নবি হোসেন বলেন, উপজেলা সদরে ব্যবসা বাণিজ্য, হাট বাজার, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাতায়াত, মামলা মোকদ্দমাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় যেকোনো কাজে এই সেতুর ওপর দিয়েই নদীর এ পাড়ের মানুষদের চলাচল করতে হয়। পায়ে হেঁটে ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পার হতে হয় তাদের।