দর্শনা কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই উদ্বোধন

প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী চিনিকলে গতকাল শুক্রবার ২০২৪-২০২৫ইং আখ মাড়াই মওসুমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। মাড়াই মওসুমের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বিকাল সাড়ে ৩টায় কেরু চিনিকলের কেইন কেরিয়ার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাদামাটাভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে চিনিকলের কেইন কেরিয়ারে আখ ফেলে মাড়াই উদ্বোধন করেন আগত অতিথিবৃন্দ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ডঃ লিপিকা ভদ্র। সভায় সভাপতিত্ব করেন চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান। এ ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আকবর আলী শেখ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মাওলা, কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম, প্রধান রসায়নবিদ আনিসুল আজম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহবায়ক আসলাম হোসেন আর্ক, কেরু এ্যান্ড কোম্পানী চিনিকল শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহাম্মেদ সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সহ এলাকার আখচাষী নেতৃবৃন্দ।

চিনিকল সুত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য করপোরেশন কর্তৃক ২০২৪-২৫ আখ মাড়াই মওসুমের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৬৫ মাড়াই দিবসে ৭০ হাজার মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে ৪ হাজার ২শ মেট্রিকটন। যার গড় মাড়াই হার ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ মেট্রিকটন। চিনি আহরণের গড় হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। চলতি মাড়াই মওসুমে ৫ হাজার ১শ একর জমিতে আখচাষ রয়েছে। এর মধ্যে কৃষকের জমিতে ৩ হাজার ৪৫৫ একর এবং কেরুর নিজস্ব জমিতে ১ হাজার ৬৪৫ একর আখ রয়েছে। এবার আখের ফলন ভালো হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে আখ মাড়াইসহ চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে। চলতি ২০২৪-২৫ আখ রোপণ মওসুমে আনুষ্ঠানিকভাবে আখ রোপণ শুরু হয়েছে গত ১ সেপ্টেম্বর। এ বছর ৬ হাজার ৫ শত একর জমিতে আখ রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান জানান- মিলটির চিনি কারখানায় লোকসান কমাতে ও লাভজনক করতে নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। ইক্ষু রোপন ও কৃষকদের সুযোগ-সুবিধার দিকে বেশী নজর দেয়া হচ্ছে। কৃষকদের আখচাষে উদ্বুদ্ধ করতে সভা-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন। কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, আখ কর্তনের ক্ষেত্রে দা বা হাসুয়া ব্যবহার না করে কোদালের মাধ্যমে কর্তন করলে বেশী ফলন ও মুনাফা অর্জন সম্ভব হবে। তাই সকলে কোদালের সাহায্যে গোড়া থেকে আখ কর্তন করবেন।