চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীতজনিত কারণে বেড়েছে ডায়রীর প্রকোপ

প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে কয়েকদিন থেকে শীত জনিত কারণে বেড়েই চলছে ডায়রী আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। রোটা ভাইরাস ও ঠান্ডা জনিত কারণে বেড়েছে ডায়রীর রোগী। ১২টি বেডের বিপরীতে প্রতিদিন ৭৭-৮০ জন ডায়রী রোগী ভর্তি হচ্ছে ডায়রী ওয়ার্ডে। আর রোগী বেশি হওয়ায় বেড না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে এসে অনেকেই আরো অসুস্থ হচ্ছে বললেন রোগীর স্বজনরা। আর বাড়তি রোগীর কারণে কিছুটা হলেও হিমসিম খাচ্ছেন শিশু ওয়ার্ডের ডাক্তার ও নার্স। আর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বলছেন ডায়রীয়া থেকে রক্ষার জন্য সবাইকে সাবধান থাকা ও গরম পোশাক পড়ার পরার্মশ দেন। মেঝেতে থাকার বিষয় তিনি জানান, যাতে কোন রোগী মেঝেতে না থাকে সে বিষয়ে কাজ চলছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ থেকে ঠান্ডা জনিত কারণে ডায়রীয়ায় আক্রান্ত শিশু স্বাভাবিকভাবে ভর্তি হলেও গত তিনদিন থেকে প্রতিদিন ৭৭-৮০ জন করে ডায়রীয়ায় আক্রান্ত শিশু ভর্তি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে প্রায় ৩ থেকে ৪ শ’র বেশি শিশু ডায়রীয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। ডায়রীয়া ওয়ার্ডে ১২ বেডে গাদাগাদি করে জায়গা না পেয়ে হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে তারা।

চিকিৎসা নিতে আশা রোগীদের অভিভাবকরা বলছেন, হঠাৎ করেই পাতলা পায়খানা বা বোমি হওয়া শুরু হয়। পরে হাসপাতালে ভর্তিও হয়।

আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসক ও নার্স কম হওয়া হওয়ায় ভাল চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। মেঝেতে শুয়ে থেকে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ছে রোগী ও স্বজনরা। আর নার্সরা বলছেন, জনবল সংকট হওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে নার্সরা। দ্রুত নার্সসহ অন্যান্যে জনবল নিয়োগ দিবেন স্থানীয় প্রশাসন।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রেজাউল করিম জানান, হঠাৎ রোটা ভাইরাসের কারণে ডায়রিয়া হয়ে থাকে শিশুসহ অন্যান্যেদের। বেশি রোগীর কারণে বেডে জায়গা না পেয়ে মেঝেতে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। অল্প জনবলে চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছেন শিশু ওয়ার্ডের ডাক্তার ও নার্স।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাসুদ পারভেজ জানান,ডায়রীয়া থেকে রক্ষার জন্য সবাইকে সাবধান থাকা ও গরম পোশাক পড়ার পরার্মশ দেন। মেঝেতে রোগী থাকার বিষয় তিনি জানান, যাতে কোন রোগী মেঝেতে না থাকে সে বিষয়ে কাজ চলছে।

চিকিৎসা নিতে আশা রোগী ও রোগীর স্বজনদের দাবি, দ্রুত বেড সংকলন ও জনবল সংকট দুর করবেন স্বাস্থ্য বিষয় মন্ত্রণালয়।