নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের হিসাবে পাঠিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ম্যারিকো (বাংলাদেশ) লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের জন্য ঘোষিত অন্তর্বর্তীকালীন ৪৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বিনিয়োগাকারীদের হিসাবে পাঠিয়েছে ম্যারিকো। দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ৪৬ টাকা ৫২ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৭ টাকা ১১ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১০১ টাকা ৩১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭৯ টাকা ২৯ পয়সা। এছাড়া দ্বিতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৬ টাকা ৩৬ পয়সা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের প্রতিষ্ঠান ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ মার্চ, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ মোট ২০০ নগদ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৪৬ টাকা ২৩ পয়সা এবং ৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৬০ টাকা ৬৪ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৯৫ টাকা ২৫ পয়সা। এর আগে ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ মার্চ, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ মোট ৭৫০ নগদ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২২ টাকা ৯৩ পয়সা এবং ৩১ মার্চ, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১১৩ টাকা ৮৫ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৭১ টাকা ২৩ পয়সা। এর আগে ৩১ মার্চ, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ মোট ৮০০ নগদ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১১২ টাকা ৮২ পয়সা এবং ৩১ মার্চ, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮৫ টাকা ৩৭ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির রিজার্ভে রয়েছে ৭৬২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। ম্যারিকোর মোট তিন কোটি ১৫ লাখ শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ২ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার।