জয়ী হলে অভিবাসন কঠোর করবে জার্মানির এএফডি

শেয়ার বজ ডেস্ক: নির্বাচন সামনে রেখে জার্মানির রাজনৈতিক দলগুলো ইশতেহার ঘোষণা করেছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। জার্মানির কট্টর ডানপন্থি দল এএফডি নিজেদের ইশতেহারে অভিবাসন বিষয়ে বলেছে, অভিবাসন কঠোর করা হবে। খবর: ডয়চে ভেলে।

দলটি মনে করে, বর্তমান জার্মান অভিবাসন নীতির কারণে অনিয়ন্ত্রিতভাবে জনসংখ্যা বাড়ছে, সরকারি খরচ বাড়ছে, মারাত্মকভাবে অপরাধ বেড়েছে এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ও দেশের আবাসন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসনকে ন্যূনতম পর্যায়ে নামিয়ে আনতে চায় দলটি। তাছাড়া, গত কয়েক বছরে প্রণীত অভিবাসন বিষয়ক যেসব আইন ‘জার্মান স্বার্থের’ অনুকূলে নয় তার পরিবর্তন করার প্রতিজ্ঞা করেছে দলটি। জার্মানিতে থাকার যার অধিকার নেই তাকে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সীমান্তে অনিয়মিত অভিবাসীদের পুশব্যাক করার চিন্তা দলটির। ফলে আন্তসীমান্ত অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করছে এএফডি।
তবে জার্মানিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে দক্ষ শ্রমিকদের কাজ করার সুযোগ দিতে চায় এএফিড। এক্ষেত্রে দক্ষ পেশাধারী, স্বাস্থ্যকর্মী, বিজ্ঞান ও আইটি এসব খাতের কর্মীদের স্বাগত জানানো হবে। দলটির ইশতেহার আরও বলছে, যেকোনো বিদেশি শ্রমিককে কঠোর নিয়মের মাধ্যমে যোগদানের সুযোগ দেয়া হবে। ইউরোপের দক্ষ শ্রমিকদের জার্মানিতে কাজের সুযোগ দিতে চায় এএফডি। তবে ইউরোপের বাইরের দেশের শ্রমিকদের বেলায় তারা একটি মানদণ্ড যেমন জার্মান ভাষার দক্ষতা তৈরি করতে চায়।

এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু খাতে তারা কাজ করতে পারবেন। এমনকি এক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতিও চালু করা হতে পারে। গণিত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতের দক্ষ কর্মীদের জন্য ইইউ ব্লু কার্ড চালুর প্রস্তাব করেছে এএফডি। অবসরকালীন ভাতা, সামাজিক সুরক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানও অভিবাসীদের বেলায় সীমিত করতে চায় দলটি, যেন চাকরির শেষে তারা জার্মান সামাজিক সুরক্ষা সুবিধার ভোগী হতে না পারেন।
নির্বাচনের আগে করা জনমত জরিপে দেখা গেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এএফডি।