নিজস্ব প্রতিবেদক:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’, আর স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ৫৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪ হাজার ৮২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৫৪ কোটি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ, সরকারি শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি বিনিয়োগকারীদের জন্য চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। জানা গেছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ চূড়ান্ত ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। এর আগে ১৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। অর্থাৎ আলোচিত হিসাববছরে সর্বমোট ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিচ্ছে কোম্পানিটি। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩২ টাকা ৪২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০৬ টাকা ৮৮ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩২ টাকা ০৭ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৫ মার্চ বেলা সাড়ে ১০টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ ফেব্রুয়ারি।
এর আগে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ টাকা ১১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ৩৩ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৮ টাকা ৯০ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বমোট ২০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (অন্তর্বর্তীকালীন ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশসহ) দিয়েছে।
আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ টাকা ১০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৬ টাকা ২৭ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫০ টাকা ০৪ পয়সা। এর আগের বছরে অর্থাৎ কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বমোট ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৭ টাকা ৭২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ১৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১৪ টাকা ৭৩ পয়সা।