নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থানে ওঠে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ। তবে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২০ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৭ লাখ ১০ হাজার ৩০৫টি শেয়ার ৭৮১ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ১৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২১ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৯ টাকা ১০ পয়সা থেকে সবর্োচ্চ ২৭ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
এদিকে সম্প্রতি এস. আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের শেয়ারদর ও লেনদেন অস্বাভাবিক বৃদ্ধির পেছনে কোনো ধরনের মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে কোম্পানিটি। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘বি’ ক্যাটেগরিভুক্ত এস. আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৩৫০ কোটি ও পরিশোধিত মূলধন ৯৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৪০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৭১ হাজার ১০০। এর মধ্যে ৪৮ দশমিক ৫০ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে, ৩৪ দশমিক ০৫ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ও বাকি ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪৯ পয়সা এবং ২০২৩ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৫৫ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৬৭ পয়সা এবং ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১৮ টাকা ৫৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৩৭ টাকা ৫৭ পয়সা। তবে ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৮৮ পয়সা এবং ২০২১ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১৮ টাকা ৮৯ পয়সা। ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৫৫ পয়সা এবং ২০২০ সালের ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে (এনএভি) দাঁড়িয়েছিল ১৯ টাকা ১ পয়সা।
এদিকে সপ্তাহিক দরপতনের তালিকায় এর পরের অবস্তানে থাকা থাকা বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ, তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১৩ দশমিক ১৫ শতাংশ, হামিদ ফেব্রিকস লিমিটেডের ১৩ দশমিক ০৮ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসির ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ, জুট স্পিনার্স লিমিটেডের ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, নিউ লাইন ক্লথিংস লিমিটেডের ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, সিএপিএম আইবিবিএল লেকচার ইকুয়িটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ইয়াকিন পলিমার লিমিটেডের ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।