প্রতিনিধি, লালমনিরহাট: লালমনিরহাট সদর থানার ওসি নুর নবীর একদিন পর হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন্নবিকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে।
৯ মার্চ লালমরিরহাট সদর থানার ওসি লালমনিরহাটের কিছু সাংবাদিক সম্পর্কে অশ্রাব্য মন্তব্য করেন।এমন একটি উত্তপ্ত ভিডিও সোস্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে লালমনিরহাটের সাংবাদিক মহল।সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানায়।এই ঘটনার একদিন পর ১০ মার্চ হাতিবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন্নবির বিরুদ্ধে মানবন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে হাতিবান্ধা কৃষক দল।প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই মামলা রেকর্ড ও হেনস্থার মত গুরুতর অভিযোগ করা হয়।
আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আর ওসি মাহমুদুন-নবীকে প্রতাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ডাক দেয়া হয়েছে মানববন্ধন থেকে।
সোমবার(১০ মার্চ)দুপুরে হাতিবান্ধা উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকায় বিএনপির দলীয় অফিসের সামনে ঢাকা বুড়িমারী মহাসড়কে এ মানববন্ধন করে কৃষকদল।
উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্যে দেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব আফজাল হোসেন মিয়া, ছাত্রদলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল নোমান সহ আরো অনেকে।
এ সময় বক্তারা বলেন, ঘটনা ঘটার ৭ মাস ১৭ দিন পর আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে হামলার’ অভিযোগে করা এক মামলায় ফকিরপাড়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি মো. মমিনুর ইসলাম মমিনকে ২৩ নম্বর আসামি ও ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতি সাহিনুর রহমান ৪৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত ছাড়াই ওসি কিভাবে মামলা নথিভুক্ত করেন। তাই আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওসি মাহমুদুন-নবীকে প্রতাহার করা না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ডাক দিব।
সাম্প্রতিক সময়ে মামলার বাদি ও বিবাদির মধ্যে কথোপোকথন হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া কল রেকর্ডের সুত্র ধরে বক্তারা বলেন,”চাহিদামতো টাকা না পেয়ে’ ওই মামলায় অনেক নিরীহ মানুষকে জড়ানো হয়েছে।
বিষয়ে হাতিবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন্নবি শেয়ারবিজকে বলেন,জুলাই-আগষ্টের আন্দোলনের সময় সাংবাদিক এমএ রহিম ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ দারা আহত হন।দুইটি মামলার হচ্ছে এমএ রহিম ও মোতাহার হোসেন মিন্টু। মামলা দুটি রেকর্ড করে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছি।সাম্প্রতিক সময়ে মামলার বাদি ও বিবাদী মোশারফ হোসেন খানের ছেলে বিপ্লবের সাথে কথা বলে।কল রেকর্ড ছড়িয়ে পরে।আন্দোলনকারীদের দাবি,এভাবে কেনো মামলা হবে।এভাবে মামলা হলে তো মানুষ ভোগান্তিতে পড়বে।এমে রহিমের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ্ আল মামুন।মোশারফ হোসেন খানের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আমার বাবা এসাই জাহিদ।