সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে দরপতনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থানে উঠে এসেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ১৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তবে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৭১ শতাংশ বা ২ টাকা ৮০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫৬ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ১৮ লাখ ৫ হাজার ৮০২টি শেয়ার ৩ হাজার ৮২৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১০ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৫৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬০ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৫৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৩৮ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।

কোম্পানিটি ২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৪০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৮ কোটি ৬৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬০ কোটি টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি ৮৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩৫টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক ২৭ দশমিক ১৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪২ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ৩০ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ৫২ পয়সা। এ ছাড়া ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ১৯ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১২ পয়সা।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যতীত সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ এবং সব শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩৬ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ৫৬ পয়সা। এ ছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৬১ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আর ২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮০ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ২০ পয়সা।

এ ছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৪২ পয়সা। এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।এদিকে সপ্তাহিক দরপতনের তালিকায় এর পরের অবস্থানে থাকা লিন্ডে বাংলাদেশ লিমিটেডের ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংক পিএলসির ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ, জিল বাংলা সুগার মিলস লিমিটেডের ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ, রবি আজিয়াটা পিএলসির ৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ, দুলামিয়া কটন মিলস লিমিটেডের ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ, ওরিয়ন ইনফিউশনস লিমিটেডের ৬ দশমিক ২২ শতাংশ, সোনারগাঁও টেক্সটাইলস লিমিটেডের ৬ দশমিক ২১ শতাংশ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং এইচআর টেক্সটাইল লিমিটেডের ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ শেয়ারদর কমেছে।