মীর মনিরুজ্জামান: পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শেয়ার বিজ-এর পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভানুধ্যায়ী, সব সংবাদকর্মী এবং আমাদের এজেন্টদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। এই শুভদিনে আমরা আনন্দ উদ্যাপনের মাধ্যমে আমাদের ভ্রাতৃত্ব ও সাম্যের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করি। পবিত্র এই বিশেষ দিনে আমরা আপনাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করতে চাই। আজ থেকে এক নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এটি চালু হচ্ছে। শেয়ার বিজ পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশকের সিদ্ধান্তে প্রচলিত ধ্যান-ধারণার বাইরে গিয়ে সংবাদকর্র্মীদের ব্যবস্থাপনায় এটি পরিচালিত হবে। সংবাদকর্মীদের কল্যাণে ও তাদের ব্যবস্থাপনায়ই এটি পরিচালিত হবে। পত্রিকার বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় পত্রিকাটি তার ব্যয় নির্বাহ করবে।
‘শেয়ার বিজ’ পত্রিকা শুরু থেকেই নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রকৃত সাংবাদিকতা তখনই সম্ভব যখন তা কোনো বাণিজ্যিক স্বার্থ বা বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে পাঠকদের সমর্থন ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই লক্ষ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী তিন বছরের মধ্যে ‘শেয়ার বিজ’ পত্রিকা বিজ্ঞাপননির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসবে এবং সম্পূর্ণভাবে পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় পরিচালিত হবে। এই মডেলটি বিশ্বব্যাপী সফলভাবে যেসব পত্রিকায় কার্যকর হয়েছে, এমন কিছু পত্রিকার উদাহরণ আমাদের সামনে রয়েছে।
দ্য গার্ডিয়ান (The Guardian ): যুক্তরাজ্যের এই পত্রিকাটি বিজ্ঞাপন ছাড়াই শুধু পাঠকদের অনুদানের মাধ্যমে তাদের সাংবাদিকতা পরিচালনা করে আসছে। তাদের স্বতন্ত্র মালিকানা ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার কারণে তারা বিশ্বব্যাপী পাঠকদের কাছ থেকে সমর্থন পেয়েছে।
রেপুবলিক (Republik): সুইজারল্যান্ডের এই অনলাইন নিউজ ম্যাগাজিনটি ২০১৮ সালে শুরু হয় এবং সম্পূর্ণভাবে তাদের পাঠকদের সাবস্ক্রিপশন ও দানের ওপর নির্ভরশীল। তারা বিজ্ঞাপন গ্রহণ না করে স্বাধীন ও গভীরতাপূর্ণ সাংবাদিকতা পরিচালনা করে।
মর্নিং স্টার (Morning star ): ব্রিটেনের এই পত্রিকাটি বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভর না করে বরং পাঠক ও ট্রেড ইউনিয়নের দানের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। তারা নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য পরিচিত।
দ্য মিল (The Mill): ম্যানচেস্টারের এই অনলাইন পত্রিকাটি স্থানীয় সংবাদ কাভার করে এবং প্রধানত সাবস্ক্রিপশন রাজস্বের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তারা বিজ্ঞাপন গ্রহণ না করে বরং পাঠকদের সমর্থনের ওপর নির্ভরশীল থাকে। আমরা বিশ্বাস করি, ‘শেয়ার বিজ’ পত্রিকাও এই মডেল অনুসরণ করে বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় নতুন দিগন্ত করতে সক্ষম হবে। আমাদের লক্ষ্য আগামী তিন বছরের মধ্যে নিজস্ব অফিস, প্রেস ও কর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা, যা সম্পূর্ণভাবে পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় সম্ভব হবে।
আমাদের এই যাত্রায় আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সমর্থন একান্ত প্রয়োজন। আপনারা আমাদের পত্রিকাটি পড়ুন, মতামত দিন এবং সম্ভব হলে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করুন। আপনাদের সমর্থনই আমাদের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আসুন, এই ঈদুল ফিতরের আনন্দঘন মুহূর্তে আমরা প্রতিজ্ঞা করি, সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে সমাজে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠায় একসঙ্গে কাজ করব। আপনাদের সহযোগিতায় ‘শেয়ার বিজ’ পত্রিকা হয়ে উঠুক বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের প্রতীক। ঈদ মোবারক।