মীরসরাইয়ে কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

কালবৈশাখী ঝড়ে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে গাছপালা, ঘরবাড়িসহ ফসলের ক্ষতি হয়। বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি। এতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ ছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ। গতকাল সোমবার ভোর ৬টা থেকে ৭টা প্রায় এক ঘণ্টা উপজেলার কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে উপজেলার ৬নং ইছাখালী ও ১১নং মঘাদিয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মঘাদিয়া ইউনিয়নের হাসিমনগর এলাকা কালবৈশাখী ঝড়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসিম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে তারেক স্টোর নামের একটি দোকানের ওপর গাছ পড়ে দোকানটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এতে দোকানির প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান দোকান মালিক। সড়কের অনেক স্থানে গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। বিধ্বস্ত হয়ে গেছে অসংখ্য বড় বড় গাছ। ইছাখালী ইউনিয়নের চরশরৎ মডেল হাই স্কুলের টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং একই এলাকায় আবাসন প্রকল্পের ঘরের চাল উড়ে গেছে। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় পরীক্ষার্থীদের মোমবাতি জ্বালিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেখা গেছে।

হাসিমনগর এলাকায় বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় আজ ভোরে ৬টার ঝড়ে পুরো গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। কমবেশি বেশকিছু ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন ঘরবাড়ির চাল উড়ে গেছে, রাস্তায় গাছ পড়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের পাশের বাড়িতে গাছ পড়ে কৃষকের গরু মারা গেছে।

চরশরৎ স্কুলের ছাত্র আব্দুর রহিম জানান, আজ ভোরবেলায় কালবৈশাখীর প্রচণ্ড ঝড়ে আমাদের স্কুলের একটি ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্রেণিকক্ষ, আসবাবপত্র ও শিক্ষাসামগ্রীর মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।

মীরসরাই পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম আদনান আহমেদ বলেন, ভোরের ঝড়ে মীরসরাই উপজেলায় আবুরহাট, মঘাদিয়া ও ইছাখালী এলাকায় অন্তত ১৩টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। বিভিন্ন এলাকায় এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ প্রবল ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো উপড়ে পড়ে। সারাইয়ের কাজ চলছে। দ্রুত যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, সেসব এলাকায় ক্রমান্বয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, এখনও ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য পাইনি। খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো আবেদন করলে উপজেলা থেকে সহযোগিতা করা হবে।