প্রজ্ঞা দাস : জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন প্রক্রিয়া বর্তমানে সাধারণ মানুষের জন্য দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নাম, জন্মতারিখ বা ঠিকানার মতো সামান্য তথ্য সংশোধনের জন্য মানুষকে বারবার নির্বাচন অফিসে ছুটতে হয়। জটিল কাগজপত্র, অস্পষ্ট নির্দেশনা এবং অদক্ষ ব্যবস্থাপনা এই প্রক্রিয়াকে দীর্ঘ এবং কষ্টকর করে তুলেছে। অনলাইন পোর্টাল থাকলেও তার কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ। ধীরগতির ওয়েবসাইট, সার্ভার সমস্যায় বারবার লগইন ব্যর্থতা, জটিল ও দুর্বোধ্য ইউজার ইন্টারফেস সব মিলিয়ে অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়াও হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। ফলে অনেকেই নিরুপায় হয়ে দালালের দ্বারস্থ হন, যা অর্থনৈতিক শোষণ এবং প্রতারণার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য পরিস্থিতি আরও করুণ।
সীমিত ইন্টারনেট সংযোগ, ডিজিটাল দক্ষতার অভাব এবং দূরবর্তী অফিসে বারবার যাতায়াত এ সেবাকে তাদের জন্য প্রায় অনাধিগম্য করে তুলেছে। এতে শুধু সময় ও অর্থই নষ্ট হচ্ছে না, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা। এ পরিস্থিতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের প্রক্রিয়া সহজ, স্বচ্ছ ও প্রযুক্তিনির্ভর করা অত্যন্ত জরুরি।
ব্যবহারকারীবান্ধব অনলাইন পোর্টাল, শক্তিশালী সার্ভার, মোবাইল অ্যাপভিত্তিক সেবা এবং স্থানীয় পর্যায়ে সেবাকেন্দ্র চালু হলে নাগরিকরা ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে পারবেন। এতে যেমন নাগরিক দুর্ভোগ কমবে পাশাপাশি নাগরিক অধিকার ও সুরক্ষিত হবে। তাই জনগণের ভোগান্তি নিরসনের লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনে সহজীকরণ ও ডিজিটাল সেবা উন্নত করতে নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
লেখক: শিক্ষার্থী, অর্থনীতি বিভাগ, ইডেন মহিলা কলেজ