দেশের খাদ্য পরিস্থিতি সন্তোষজনক : খাদ্য উপদেষ্টা

শেয়ার বিজ ডেস্ক : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশের খাদ্য পরিস্থিতি সন্তোষজনক। অদূর ভবিষ্যতে খাদ্য নিয়ে আমাদের কোনো ঝামেলায় পড়তে হবে না। ইতোমধ্যে সারা দেশে খাদ্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। আমরা আশাবাদী আমাদের সংগ্রহ অভিযানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তবে ময়মনসিংহ বিভাগে খাদ্য মজুতের ধারণ ক্ষমতা কিছুটা কম। খুব দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে চলতি মৌসুমের বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, মজুত ও বিতরণবিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গতকাল বুধবার তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, চলতি মৌসুমে আমরা ১৪ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন ধান কিনব। এবার ভালো ফসল হয়েছে, আশা করছি, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। বর্তমানে দেশের খাদ্য পরিস্থিতি অত্যন্ত সন্তোষজনক। আজকের এই দিনে আমাদের খাদ্য মজুত আছে ১৫ লাখ মেট্রিক টন। যা গত বছরের এই দিনের চেয়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন বেশি। তবে সন্তোষজনক অবস্থা সব সময় ঠিক রাখা যায় না। এটা ক্রমাগত খরচ হচ্ছে আবার যোগ হচ্ছে।

এ সময় খাদ্য শস্য আমদানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা প্রয়োজন মতো খাদ্য শস্য বিদেশ থেকে আমদানি করি। গত বছরও আমদানি করতে হয়েছে। তবে বোরোর মতো আমনও যদি ফলন ভালো হয়, তাহলে এবার আর চাল আমদানি করতে হবে না। কিন্তু আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য গম। এর পুরুটাই আমদানি নির্ভর। আমাদের ৭০ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। কারণ আমাদের দেশের মানুষ একবেলা রুটি খায়। কিন্তু আমাদের উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র ১০ লাখ মেট্রিক টন। এতে ঘাটতি ৬০ লাখ মেট্রিক টন। এই ঘাটতি মূলত বেসরকারি খাত থেকে পূরণ হয়। তবে আমাদের রেশেনিংয়ের জন্য প্রয়োজন ৭ থেকে ৮ লাখ মেট্রিক টন। আমাদের গম মজুত আছে প্রায় ৩ লাখ মেট্রিক টন।

সভায় ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ন কবীর, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) তাহমিনা আক্তার, আঞ্চলিক খাদ্য কর্মকর্তা আবু নাঈম মো. শফিউল আলম, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুফিদুল আলম, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল কাদির, মুয়েদুর রহমান হুমায়নসহ শেরপুর, নেত্রকোনা, জামালপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও খাদ্য কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, চলতি বোরো মৌসুমে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ধানের বরাদ্দকৃত লক্ষ্যমাত্র ৪৭ হাজার ৯৩৬ মেট্রিক টন। এর থেকে ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৮৪৬ মেট্রিক টন। এছাড়া চলতি মৌসুমে সেদ্ধ চাল সংগ্রহে বরাদ্দকৃত লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ২৫ হাজার ৮২৭ মেট্রিক টন। এর থেকে ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৬২৭ মেট্রিক টন।