তদন্ত ছাড়াই আদালতে প্রতিবেদন: ময়মনসিংহে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত না করেই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করায় ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন ফয়সাল মিয়া নামের এক ব্যক্তি।

ভুক্তভোগী ফয়সালের দাবি, চর ঈশ্বরদিয়া শিমুলতলি মোড় এলাকার তার বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটানোর পরও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় একাধিকবার অভিযোগ করলেও তদন্ত না করে, সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই প্রতিবেদন দেওয়া হয় আদালতে।

ফয়সাল জানান, তার বিরুদ্ধে যে মামলাটি হয়েছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি জামিনে মুক্ত হওয়ার পর বাদীপক্ষকে হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু সেই সময় তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। এ সংক্রান্ত প্রমাণপত্র আদালতে দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি অভিযোগ করেন, এসআই কামরুল হাসান ও এসআই রিপন চন্দ্র সরকার পূর্ববিরোধের জেরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে হয়রানি করছেন। বিশেষ করে একটি মাদ্রাসা সংক্রান্ত বিরোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাদের সঙ্গে পূর্বে তার মতবিরোধ তৈরি হয়। পরে সেই জেদ থেকেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও জিডি করা হয়।

এ বিষয়ে আদালতে দাখিল হওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ মে তারিখে হুমকির অভিযোগের নির্ভরযোগ্য কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি বাদীপক্ষও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি।

তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশেই তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে এবং অভিযোগের বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।

ফয়সাল বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি আদালতে যাব এবং উচ্চ পর্যায়ে অভিযোগ করব।”

এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, তদন্ত ছাড়া প্রতিবেদন দেওয়া হলে সাধারণ মানুষ আইনের কাছে নিরাপত্তা পাবে না।

ফয়সাল তার বক্তব্যে বলেন, “আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি অপরাধ করলে বিচারের মুখোমুখি হব, কিন্তু নিরপরাধ হলে যারা ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরও বিচার হওয়া উচিত।”