দুর্বল কোম্পানির আধিপত্যে কমছে লেনদেন  

রুবাইয়াত রিক্তা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বুধবার সবক’টি সূচক বাড়লেও লেনদেন ব্যাপকহারে কমেছে। এদিন ৫২ শতাংশ বা ১৬৭টি কোম্পানির দর বাড়লেও লেনদেন কমেছে প্রায় ১৯৪ কোটি টাকা। ছোট মূলধনি এসব কোম্পানির দরবৃদ্ধি সূচকে তেমন প্রভাব ফেলতে না পারলেও গতকাল গ্রামীণফোনের দর বেড়েছে ১০ টাকা ৪০ পয়সা বা দুই দশমিক ২০ শতাংশ, যা সূচকের উত্থানে বড় ভূমিকা রেখেছে। অন্যদিকে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর দর বাড়লেও খুব সামান্য হারে বেড়েছে। কিন্তু দুর্বল ও ছোট মূলধনি অনেক কোম্পানির দর প্রায় ১০ শতাংশ করে বেড়েছে।

গতকাল সবচেয়ে ইতিবাচক ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং বস্ত্র খাত। ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় ২১৩ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ২৪ শতাংশ। এ খাতের মাত্র ২৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। ১১৫ কোটি টাকা লেনদেন কমেছে ব্যাংক খাতেই। আর্থিক খাতে মাত্র ২১ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে। এ খাতে লেনদেন হয় ১৩৭ কোটি টাকা। লেনদেন কমার পরিমাণ ছিল প্রায় ৬৬ কোটি টাকা। প্রকৌশল খাতে ৬৬ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে, তবে লেনদেন কমেছে ৩১ কোটি টাকার বেশি। বস্ত্র খাতে ৫৪ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে, লেনদেন বেড়েছে সাত কোটি টাকা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৭৮ শতাংশ শেয়ারদর ইতিবাচক থাকার পাশাপাশি লেনদেন বেড়েছে ৩৮ কোটি টাকা। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৫০ শতাংশ শেয়ারদর বেড়েছে, তবে লেনদেন কমেছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। টেলি যোগাযোগ ও সিরামিক খাত শতভাগ ইতিবাচক ছিল।

গতকাল ৬০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন করে বাজারে নেতৃত্ব দিয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। এছাড়া এবি ব্যাংকের ৩৭ কোটি টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৩১ কোটি, ইউনাইটেড পাওয়ার ২৫ কোটি, সিএমসি কামাল ২৩ কোটি, এফএএস ফাইন্যান্স, ঢাকা ব্যাংক ও বিবিএস কেবল্সের ২১ কোটি টাকা করে শেয়ার লেনদেন হয়।

দরবৃদ্ধির শীর্ষ পর্যায়ে থাকা সাভার রিফ্র্যাক্টরিজের দর ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, মন্নু সিরামিকের দর ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, সমতা লেদার ৯ দশমিক ৮২ শতাংশ, জুট স্পিনার্স ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ, শ্যামপুর সুগার ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ, নর্দার্ন জুট ছয় দশমিক ৯৯ শতাংশ, অলটেক্স পাঁচ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। সবগুলো কোম্পানি দুর্বল মৌলভিত্তির জেড, নয়তো বি ক্যাটাগরির। এছাড়া দরবৃদ্ধির শীর্ষ পর্যায়ে থাকা বাকি কোম্পানিগুলোও ছিল ছোট মূলধনি।