নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরকে গতিশীল করার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে ১১৮ কোটি টাকা মূল্যের ১০টি ইকুইপমেন্ট আমদানি করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ছয়টি রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন ও একটি রেল মাউন্টেড ইয়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন রয়েছে। এছাড়া একটি লগ হ্যান্ডালার ও দুটি মোবাইল ক্রেন আমদানি করা হয়।
গতকাল বৃস্পতিবার বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫ নম্বর জেটিতে রেলমাউন্টেন্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান।
মন্ত্রী বলেন, আরএমজি চলবে বিদ্যুৎ। বায়ুদূষণের সুযোগ নেই। চট্টগ্রামে গ্রিন পোর্ট হবে। যেসব জাহাজ অবস্থান করে তাদের ইঞ্জিন চালিয়ে রাখতে হয়। আমরা সেসব জাহাজে বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্যোগ নিচ্ছি। তাহলে বায়ুদূষণ হবে না। আর বে টার্মিনাল ও পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) ২০২০ সালে অপারেশনে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেন, বন্দরের জাহাজজট, কনটেইনার জট ও ইকুইপমেন্ট সংকট নিয়ে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সব সংকট কেটে উঠেছি। এখন বিশ্বের ১০০ কনটেইনার পোর্টের মধ্যে চট্টগ্রাম ৭১ নম্বরে উন্নীত হয়েছে। আগামীতে ১০ নম্বরের মধ্যে আসতে চাই। তিনি বলেন, উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও দেশপ্রেমের ওপর। শেখ হাসিনা এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম, কমডোর খন্দকার আকতার হোসেন, কমডোর শাহিন রহমান, কামরুল আমিন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তারিকুল ইসলাম, সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন, বিকডার সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন প্রমুখ।