মুন্নু জুট স্টাফলারসের দর বেড়েছে  ২০ দশমিক ৫৭ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি মুন্নু জুট স্টাফলারস লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে এক কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ পাঁচ কোটি ৮২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন দশমিক ৬৪ শতাংশ বা ৬৮ টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ এক হাজার ৯৪৪ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল এক হাজার ৯৩৪ টাকা ৪০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৮ হাজার ২৩৯টি শেয়ার মোট ৭৬৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৫৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ এক হাজার ৯০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ৯৯২ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৪৯১ টাকা থেকে এক হাজার ৯৯২ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৭ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৫২ টাকা ২৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে দুই লাখ ৩০ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানি ১৯৮২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির এক কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৬ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ২০১৬ সালে ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এ সময় ইপিএস করেছিল তিন টাকা ২১ পয়সা এবং এনএভি ছিল ৫১ টাকা ৬৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৫৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ২৫ পয়সা ছিল। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ২৮ পয়সা। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৫২ টাকা ৪৬ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল ৫২ টাকা ২৫ পয়সা।
কোম্পানির মোট চার লাখ ৬০ হাজার শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৫৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ছয় দশমিক ৭৬ শতাংশ, বিদেশি দশমিক শূন্য তিন শতাংশ ও ৩৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। এ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৪৮ লাখ পাঁচ হাজার ৬০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে সাত কোটি ৪০ লাখ ২৮ হাজার টাকার শেয়ার।
সর্বশেষ কার্যদিবসে শেয়ারদর দশমিক ৯১ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩২ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩২ টাকা ৯০ পয়সা। দিনজুড়ে ১০ লাখ ৫০ হাজার ৫৬৩টি শেয়ার মোট ৩৮৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর তিন কোটি ৪৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৩৫ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৬২ পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদন জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৬ জুন সকাল ১০টায় রাজধানীর গুলশান-১-এ স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টার লিমিটেডে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৩ মে।
কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৫ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির মোট তিন কোটি ৫৭ লাখ ৮২ হাজার ৩০৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্য মতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৫২ দশমিক ৪০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের তিন দশমিক ৬২ শতাংশ ও ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা কুইন সাউথ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে আট কোটি ৮৯ লাখ ৪৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে ৪৪ কোটি ৪৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির ১৭ লাখ ৩১ হাজার ২৪৬টি শেয়ার মোট এক হাজার ৫৭২ বার লেনদেন হয়। এর বাজারদর ছিল আট কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বা চার টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫০ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৫০ টাকা ৪০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৪৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, মুন্নু সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, স্টাইল ক্রাফট লিমিটেড, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড, ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টস, লিগ্যাসি ফুটওয়্যার ও ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।