নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারদর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের। সম্প্রতি অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কোম্পানিটি এমন তথ্য জানায়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সম্প্রতি কোম্পানিটির অস্বাভাবিক দর বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই নোটিস পাঠায়। জবাবে কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য ছাড়াই শেয়ারদর বাড়ছে বলে জানায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। যা গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিলো এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গত ১১ জুন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ৬৫ টাকা ৯০ পয়সা, যা গতকাল লেনদেন হয় ৭২ টাকা ৫০ পয়সায়। এ হিসাবে তিন কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ছয় টাকা ৬০ পয়সা। আর এ দর বাড়াকে অস্বাভাবিক মনে করছে ডিএসই।
গতকাল শেয়ারদর দশমিক ৮৪ শতাংশ বা ৬০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৭২ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৭২ টাকা ৫০ পয়সা। দিনজুড়ে ৩৭ লাখ ২৭ হাজার ১৩০টি শেয়ার মোট দুই হাজার ৪৭৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২৬ কোটি ৯৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৭০ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭৩ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ৫৩ টাকা থেকে ৭৩ টাকা ৫০ পয়সায় ওঠানামা করে।
কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’ এবং স্বল্পমেয়াদি ‘এসটি-১’। ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন ও ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।
কোম্পানিটি ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করেছে। ২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা সাত পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৬ টাকা ২০ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৮৩ কোটি দুই লাখ ৭০ হাজার টাকা।
৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত সমাপ্ত ১৮ মাসের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৯ টাকা ৮২ পয়সা এবং এনএভি ২৪ টাকা ৬৩ পয়সা। ওই সময় পরবর্তী মুনাফা করেছিল ৩৫৪ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
৭০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৩৬১ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৫৮৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ৩৬ কোটি ১২ লাখ ৮৪ হাজার ৭০৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৭০ দশমিক ৫৯ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বিদেশি দশমিক ৮৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ১৯ দশমিক ১৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ১৪ দশমিক তিন এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৩ দশমিক ৮৪।
