নিজস্ব প্রতিবেদক: পিপলস ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন চালু হয়েছে আজ। এর আগে রেকর্ড ডেটের কারণে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন বন্ধ ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ নগদ ঘোষণা করেছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে দুই টাকা ২০ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ছিল (এনএভি) ২৫ টাকা ৩১ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৪৬ পয়সা ও ২৪ টাকা ৩১ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টায় স্পেকট্রা কনভেনশন সেন্টারে (বাড়ি-১৯, সড়ক-৭, গুলশান-১, ঢাকা) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। ওই সময় ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৪৬ পয়সা এবং এনএভি ২৪ টাকা ২১ পয়সা। এটি আগের বছর ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৮২ পয়সা ও ২২ টাকা ৮৫ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী আয় করেছে ১১ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল আট কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৯০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজারদরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় অনুপাত আট দশমিক শূন্য ৯ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে আট দশমিক ২৯। কোম্পানিটির মোট চার কোটি ৬২ লাখ শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ২১ দশমিক ১৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ৪৯ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ৬০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৫৮ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে দুই পয়সা। ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ২৫ টাকা ৯১ পয়সা। এটি আগের বছরের একই সময় পর্যন্ত ছিল ২৪ টাকা ৮৯ পয়সা।
