নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে বিনিয়োগে মুনাফার হার সিঙ্গেল ডিজিটে (একক অঙ্ক) নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে এটি কার্যকর হবে। ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ মুনাফা সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার জন্য সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনার আলোকে ইসলামী ব্যাংক প্রথম এ উদ্যোগ গ্রহণ করে। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় ব্যাংকটি।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ উন্নয়ন, নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সহযোগী হিসেবে কাজ করে চলেছে বলে ব্যাংকটি মনে করছে। এছাড়াও এর মাধ্যমে দেশের শিল্প, অবকাঠামো, ব্যবসা-বাণিজ্য ও আমদানি-রফতানিসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারা আরও বেগবান হবে।
এদিকে দেশের উন্নয়নের ক্রমবর্ধমান ধারাকে উৎসাহিত ও বেগবান করতে বিনিয়োগে ঋণের সুদের হার একক অঙ্কে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ইসলামী ব্যাংককে অভিনন্দন জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নেতারা।
গতকাল পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উভয় বণিক সংগঠন এ অভিনন্দন জানায়। একই সঙ্গে এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে দেশের অন্যান্য ব্যাংকের প্রতিও সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার আহ্বান জানানো হয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে।
দেশের ব্যবসায়ীদের আবেদন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাড়া দিয়ে বিনিয়োগ ঋণের সুদের হার আগামী ১ জুলাই থেকে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ব্যবসায়ীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর তাৎক্ষণিক ও বিচক্ষণ পদক্ষেপ এবং ব্যাংক সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত তা বাস্তবায়নে এফবিসিসিআই নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে অভিযাত্রার এ গৌরবময় মুহূর্তে দেশে যখন ব্যাপক ও বহুমাত্রিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে তখন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের অন্যতম পূর্বশর্ত বিনিয়োগে ঋণের সুদহার হ্রাস বিনিয়োগকারী তথা সমগ্র ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে উৎসাহিত করবে ও তাদের আস্থা বৃদ্ধি করবে।
ইসলামী ব্যাংকের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাংকও ব্যবসা ও শিল্পবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং আমদানি-রফতানি কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ঋণের সুদহার কমিয়ে আনবে বলে ব্যবসায়ী নেতারা আশা করছেন। পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়টিতে বিশেষ নজর রাখবে বলে ব্যবসায়ী সম্প্রদায় আশা করছে।
এফবিসিসিআই’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের আর্থসামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের মর্যাদা লাভ করতে সক্ষম হবে বলে এফবিসিসিআই নেতারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। উন্নয়নশীল দেশ ও মধ্যম আয়ের মর্যাদা পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ও সরকারের পাশাপাশি নিরবচ্ছিন্নভাবে কার্যকর উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও বলা হয়।
চিটাগং চেম্বারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি চেম্বার সভাপতি আন্তরিক ও গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ও ক্রমান্বয়ে উন্নত দেশে উন্নীত করতে বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইসলামী ব্যাংকের এ ইতিবাচক পদক্ষেপের জন্য মাহবুবুল আলম চেম্বার তথা সারা দেশের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে সাধুবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া আগামী অর্থবছরে সাত দশমিক আট শতাংশ জিডিপি অর্জন ও কাক্সিক্ষত বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে এ প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।