চাটমোহরে অধিকাংশ সড়ক বেহাল

শাহীন রহমান, পাবনা: পাবনার চাটমোহরের অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কগুলো ভেঙেচুরে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে থাকছে দিনের পর দিন। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এ অবস্থা উপজেলার প্রতিটি সড়কের।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কের বেশিরভাগ সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) আওতাধীন হওয়ায় পৌর কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোনো মাথাব্যথা নেই। রশি টানাটানি চলছে দুই দফতরের মধ্যে। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এর প্রভাব পড়ছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও। বাইরে থেকে চাটমোহরে কোনো পণ্যবোঝাই ট্রাক বা কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে চায় না। যদিও বা আসে সেক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের ভাড়া বেশি গুনতে হয়। এতে পণ্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের সড়কের মধ্যে চাটমোহর ভাদ্রা বাইপাস মোড় থেকে হাসপাতাল গেট, বাসস্ট্যান্ড থেকে হরিপুর সড়ক, জারদ্রিস মোড় থেকে পার্শ্বডাঙ্গা এবং ফৈলজানা সড়ক, জারদ্রিস মোড় থেকে মান্নাননগর সড়ক, চাটমোহর-ছাইকোলা সড়কের ধানকুনিয়া বাজার পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা। সড়কগুলোতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনে করে সাধারণ মানুষের চলাফেরা করা দায়। এছাড়া আধঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে দুই ঘণ্টায়। সময় অপচয় হওয়ার পাশাপাশি যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিচ্ছেন যানবাহন চালকরা।
অপরদিকে পৌর শহরের কর্মকারপাড়া, সাহাপাড়া, হরিসভা রোড, দোলং, চৌধুরীপাড়া, বালুচর মহল্লাসহ বেশকিছু রাস্তাও বেহাল। এদিকে গত কয়েকদিনের বর্ষণের ফলে রাস্তার ওপর বড় বড় বড় গর্তে পানি জমে আছে। গর্তের গভীরতা বুঝতে না পেরে যানবাহন চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে স্বজনদের। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। ভুক্তভোগীরা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, চাটমোহরের সব সড়কের যে অবস্থা তাতে মনে হয়, এসব সড়কের বাপ-মা নাই। কে যে দেখবে বা কারই দায়িত্ব সড়ক মেরামতের তা কেউ জানে না।
চাটমোহর পৌর সভার মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল জানান, পৌরসভার বেশকিছু সড়ক মেরামত করা হয়েছে। তবে সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের সড়কগুলো নিয়ে আছেন বিপদে। সাধারণ মানুষ মনে করে সড়কগুলো পৌরসভার। সওজ কর্তৃপক্ষকে বারবার বলার পরেও কোনো সড়ক মেরামত করেনি। অথচ মানুষ গালাগালি করছে আমাকে।
এ ব্যাপারে পাবনা সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরণ রায় জানান, ইতোমধ্যেই কিছু সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। যেগুলো বাকি আছে আপাতত সেগুলো চলাচল যোগ্য করা হবে। বর্ষাপরবর্তী সময়ে সব সড়কের উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হবে।