শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, নওগাঁ: নওগাঁর বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র ও দর্শনীয় স্থানে ঈদের দিন থেকে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লেগে আছে।
ঈদের দিন বিকাল থেকে নওগাঁ শহরের বাইপাস সড়ক-সংলগ্ন আব্দুল জলিল শিশু পার্কে শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ঈদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বিনোদনপ্রেমীরা ছুটে যান শহরের প্রাণকেন্দ্র মুক্তির মোড় সংলগ্ন জেলা পরিষদ পার্কে। শহরের বুক চিড়ে বয়ে চলা ছোট যমুনা নদীর তীরে নির্মল বাতাস ও বিনোদনের জন্য অনেকে ভিড় জমান। সন্ধ্যার পর নদীর দুই ধারের আলোকসজ্জা মানুষের আনন্দকে যেন আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
জেলার অন্যতম দর্শনীয় স্থান মান্দার ঐতিহাসিক কুশুম্বা মসজিদে বিভিন্ন বয়সী মানুষের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষের উপস্থিতি ছিল অন্য সময়ের তুলনায় বেশি। ভ্রমণপিপাসুরা বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রাচীন এ মসজিদটি ঘুরে দেখেন।
অনেকেই পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধবকে নিয়ে ছুটে আসেন ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে। ঈদের দিন থেকে বিভিন্ন জেলার নানা বয়সী মানুষ এখানে ঘুরতে আসেন। সাধারণত বছরের অন্যান্য সময় এখানে যত পর্যটক আসেন, ঈদের ছুটিতে কয়েকগুণ বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটে।
নওগাঁ শহরের বনানী পাড়ার কামরুল হাসান চৌধুরী পরিবারসহ বেড়াতে আসেন আব্দুল জলিল শিশু পার্কে। তিনি জানান, ছেলেমেয়েদের স্কুল-কোচিংয়ের কারণে ঘুরাঘুরির তেমন সুযোগ হয় না। তাই ঈদের এ ছুটিতে ঘুরতে বেরিয়েছেন। পার্কের মধ্যে রাইডগুলোতে চড়ে বাচ্চা অনেক আনন্দ উপভোগ করছে।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে সানোয়ার হোসেন জানান, ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করি। সারা বছরই অন্য জেলায় থাকতে হয়। বেড়ানোর তেমন সুযোগ পাওয়া যায় না। ঈদের ছুটিতে বন্ধুরা মিলে পাহাড়পুরে বেড়াতে এসেছেন।
পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারের কাষ্টোডিয়ান সাদেকুজ্জামান জানান, ঈদ উপলক্ষে ঐতিহাসিক এ স্থানে পর্যটকদের ব্যাপক উপস্থিত ছিল। গত চারদিনে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে প্রায় ছয় লাখ টাকা। আগামী কয়েকদিন এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকতে পারে।