নিজস্ব প্রতিবেদক: তালিকাভুক্ত সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড ও উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ বাংলাদেশ ইলেক্ট্রনিক ফান্ডস ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ ব্যাংক হিসাবে পাঠিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিঙ্গার বাংলাদেশ: ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) করেছে ৯ টাকা ৭৯ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ২৮ টাকা ১৭ পয়সা।
গতকাল শেয়ারদর দশমিক ৪৭ শতাংশ বা ৮০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ১৭১ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ১৭২ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ৭১ হাজার ১৯৫টি শেয়ার মোট ৪৩৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর এক কোটি ২২ লাখ ২১ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনি¤œ ১৬৯ টাকা ৬০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১৭৪ টাকায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ১৬৪ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ২০৭ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরে ৭০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে পাঁচ শতাংশ বেশি। এ সময় ইপিএস হয়েছে সাত টাকা ১২ পয়সা এবং এনএভি ২৫ টাকা ৩৯ পয়সা। যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে চার টাকা ৮১ পয়সা ও ১৮ টাকা ৪৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৫৪ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ৩৬ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
কোম্পানির মোট সাত কোটি ৬৬ লাখ ৯৪ হাজার ৪৯১টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে ৫৭ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের, প্রাতিষ্ঠানিক ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ, বিদেশি ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৭৬ কোটি ৬৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৩৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
উত্তরা ব্যাংক : ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৮৩ পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ৩৪ টাকা ৮১ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৫৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ সময় ইপিএস হয়েছে তিন টাকা ৮৬ পয়সা এবং এনএভি ৩৩ টাকা ৫২ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৫৪ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ১৯৮৪ সালে তালিকাভুক্ত হয়। ৬০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৯৯২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ইপিএস হয়েছে ৩৯ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ৩৩ পয়সা। চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এনএভি ৩৫ টাকা ২০ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৩৪ টাকা ২৭ পয়সা। কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ১৫ কোটি ৪৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন ও বাজার দরের ভিত্তিতে শেয়ারের মূল্য আয় (পিই) অনুপাতে ছয় দশমিক ৩৭ এবং হালনাগাদ অনিরীক্ষিত ইপিএসের ভিত্তিতে ১৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ২১ দশমিক ৪১ শতাংশ, বিদেশি দুই দশমিক ২২ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৮ দশমিক ২২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
