মাহমুদুল হক আনসারী : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সামরিক সহিংসতাসহ নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ফলে আবার সংকট দেখা দিয়েছে। জাতীয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। তাদের কড়া নিরাপত্তার পাহারায় রাখা হয়েছে। ফলে নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশের ঝুঁকি বাড়ছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কক্সবাজারে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। বাস্তবতা হলো, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান তাদের প্রত্যাবর্তন। আন্তর্জাতিক সব পক্ষকে ম্যানেজ করে বাংলাদেশকে প্রত্যাবর্তনে দিনক্ষণ ও বাস্তবায়ন এই সরকারকেই করতে হবে।
রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতা বাস্তবায়ন হতে শুরু হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচক্ষণ কূটনৈতিক তৎপরতায় সফলতা এখন শুরু হতে যাচ্ছে। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুকে ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে। তালিকাভুক্ত ১ লাখ ৮০ হাজারের বাইরেও আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথা জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের তাদের দেশে সসম্মানে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতার ঘাটতি ছিল না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা তুলে ধরতে যথাযথভাবে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ নোবেলবিজয়ী এই মানুষটির হাত ধরেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে হত্যা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে উখিয়া টেকনাফের ১২টি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে রোহিঙ্গারা। বর্তমানে ৩৩টি ক্যাম্পে ১২ লাখের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থান করছে। তাদের প্রত্যাবর্তনে বাংলাদেশ জোরেশোরে কূটনৈতিক তৎপরতা চালালেও এ পর্যন্ত কোনো আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া যায়নি। তাদের অবস্থানের কারণে স্থানীয় পাঁচ লাখ বাংলাদেশি প্রতিদিন নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে আন্তঃকোন্দল বাড়ছে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপের সৃষ্টি হচ্ছে। সন্ত্রাস, অপহরণ ও নারী-শিশু পাচার অহরহ ঘটছে। বাংলাদেশে উদ্বাস্তু হিসেবে তারা অবস্থান করছে। এদেশের সরকার ও জনগণ মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিলেও বর্তমানে এ অঞ্চলের জন্য তারা আতঙ্ক হিসেবে তৈরি হয়েছে। বৃহত্তর চট্টগ্রামে নানাভাবে ঢুকে পড়ছে। বাংলাদেশের এনআইডি ও জš§নিবন্ধন বিভিন্ন কৌশল করে স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংগ্রহ করছে। মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করে অবৈধ পথে পাসপোর্ট পর্যন্ত সংগ্রহ করার কথা শোনা যায়। এগুলো ব্যবহার করে স্থল ও নৌপথে বাংলাদেশের বাইরে পাড়ি জমানোর জন্য চেষ্টা করছে। সমুদ্রপথে নারী ও শিশু পাচার করছে। একটি সিন্ডিকেট শক্তভাবে তাদের এসব পথে পাচার করছে। এ অঞ্চলের সব রকমের মাদকের পাচারের সঙ্গে রোহিঙ্গারা নানাভাবে সম্পৃক্ত।
তাদের কারণে মাদক ও নারী-শিশু পাচার কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। দিন দিন তারা হিংস্র হয়ে উঠছে। তাদের কারণে বাংলাদেশি স্থানীয় নাগরিকরা নানাভাবে দৈনন্দিন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এসব রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও মাদক পাচারকারী গ্রুপের সঙ্গে মিয়ানমার এবং পাহাড়ি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৈৗমত্ববিরোধী চক্রান্তে রোহিঙ্গাদের মধ্যে একটি গোষ্ঠী জড়িত থাকার যথেষ্ট আলোচনা হচ্ছে। তারা দেশের স্বাধীনতা স্বকীয়তা সার্বভৈৗমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এসব সন্ত্রাসীর কিছু গোষ্ঠী মদদ দিচ্ছে বলেও শোনা যায়। এনজিও নামক অগণিত প্রতিষ্ঠান তাদের নিয়ে কাজ করছে। দেশ-বিদেশ থেকে তারা তাদের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে আসছে। অনুদানের অর্থ তাদের দেখিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করছে। প্রতিষ্ঠানের মালিকরা অনেকেই রাতারাতি আঙুল ফুলে কলাগাছ। এগুলো সবকিছু বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে সচেতন জনগণ।
তাদের মধ্যে নিরীহ রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন চাইলে ও কিছু রোহিঙ্গা লিডার ফেরত যেতে চায় না। প্রত্যাবর্তনবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তাদের মদদ দিচ্ছে দেশি-বিদেশি মহল। তাদের প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের জনগণ দ্রুততার মধ্যে চায়। তাদের মিয়ানমার সরকার পূর্ণ নাগরিক অধিকার দিয়ে তাদের নিজ নিজ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন করুক সেটিই এদেশের জনগণ চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশে যারা অবস্থান করছে অন্য দেশের প্রতিনিধিত্ব করছে, যারা তাদের কাছে গিয়ে সোহানুভূতি জানায় তাদের বলব, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করুন। সেই জায়গায় সার্বিক সহযোগিতা করুন। বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রদের নিয়ে নানাভাবে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। তাদের বিষয়ে বাংলাদেশের পাশে থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যেভাবে আগ্রহ ও তৎপরতা সেই ধরনের তৎপরতা এদেশের জনগণ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে দেখতে চায়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের নানা কর্মকাণ্ডে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে। অত্যন্ত মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেয় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অঞ্চলে। সে দেশের জনতা সরকার তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালালে তারা দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়। হাজার হাজার রোহিঙ্গা নাগরিক নির্মমভাবে তাদের হাতে নিহত হয়। গুম করে অপহরণ করা হয়। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়। তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালায়। এ দৃশ্য সারা পৃথিবী অবলোকন করেছে। ২০১৭ সালে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মিছিলে মিছিলে বাংলাদেশের সীমান্তে প্রবেশ করে। বাংলাদেশ সরকার অত্যন্ত মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয়। তাদের জন্য উদ্বাস্ত ক্যাম্প তৈরি করা হয়। নারী, শিশু, বৃদ্ধবণিতা শিক্ষিত-অশিক্ষিত লাখ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশের টেকনাফ কক্সবাজারে ক্যাম্প তৈরি করে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়। তাদের আশ্রয় দেয়ার পর সারা পৃথিবী বাংলাদেশ সরকারকে মানবিকতার এই আচরণের জন্য ধন্যবাদ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের পাশে আন্তর্জাতিক দেশ সংগঠন সংস্থা দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল সাহায্য-সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রায় ১২ লাখের অধিক এ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করছে। তাদের কারণে সে অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়-পর্বত বিলীন হয়ে গেছে। রোহিঙ্গারা তাদের ক্যাম্পে বসে বসে জাতীয় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় খেয়ে-দেয়ে বেঁচে আছে। তারা ঠিকমতো আহার পাচ্ছে, চিকিৎসা হচ্ছে। তাদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশের সবগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে নিরলসভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের সেবা দিচ্ছে। এরপরেও রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময় নানা ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচার-আচরণ করছে। তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। তারা চোরাচালানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে। নারী শিশু পাচার করছে।
একটি চক্র রোহিঙ্গাদের থেকে নারী ও শিশুদের প্রলোভন দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করছে। উৎপেতে থাকা কিছু রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঢুকে পড়ছে। কোনোভাবেই তাদের ক্যাম্পে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তারা কোনো নির্দেশনা মানছে না। তাদের জন্য কাজ করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। দেশি-বিদেশি নানা সাহায্য সংস্থা তাদের নিয়মিত সহায়তা দিচ্ছে। এরপরেও তাদের উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন আইন না মানা, আনুগত্য না করা। বিভিন্নভাবে তারা এদেশের শৃঙ্খলা মানছে না। সেটি এখন আমরা দেখছি।
বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু মিয়ানমারের সরকার আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে রাজি হলেও বাস্তবে এ পর্যন্ত তারা একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। পার্শ্ববর্তী দেশের সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশ সরকার বারবার চেষ্টা করছে। রোহিঙ্গাদের আত্মমর্যাদার সঙ্গে নাগরিক অধিকার প্রাপ্তির সাপেক্ষে তাদের সে দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সেটি মোটেও সফল হচ্ছে না।
ইতোমধ্যে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলতে দেখা যাচ্ছে। অনেক সন্ত্রাসী গ্রুপ ক্যাম্পগুলোয় আশ্রয় নিয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে গড়ে ওঠা নানা ধরনের জঙ্গি সংগঠন সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়ার সংবাদ পত্রিকার মাধ্যমে জানা যায়। সাম্প্রদিক সময়ে আরশা প্রদান আতাউল্লাহকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল সারকিয়ার সৌর সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধানকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে গ্রেপ্তার করেছে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এসব সন্ত্রাসী গ্রুপ বাংলাদেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তারা রোহিঙ্গা উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর পরিকল্পনা করে আসছে। এর বাইরেও রোহিঙ্গাদের গড়া বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন সেখানে জš§ নিয়েছে। তাদের মধ্যে আন্তঃকোন্দল ছড়িয়ে পড়ছে।
ক্ষমতার দ্বন্দ্বে তাদের মধ্যে আন্তঃকোন্দল ছড়িয়ে পড়ছে। একে অপরকে হত্যা করছে, তারা বেপরোয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখছে বিশ্লেষকরা। এই সন্ত্রাসের সঙ্গে এক শ্রেণির এনজিও সেবা সংস্থা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান জড়িত থাকার অভিযোগ শোনা যায়।
রোহিঙ্গাদের জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা ঠিকমতো তাদের পেছনে খরচ করছে না এমন এনজিও সেখানে কাজ করছে সেটাও নানা সূত্র বলছে। তাদের জন্য আনা অর্থ নানাভাবে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা আত্মসাৎ করছে। নানাভাবে তারা সেটা অন্যখানে ব্যয় করছে অন্য কাজে ব্যয় করছে। ইচ্ছে মতো তারা তা ব্যয় করছে। যে উদ্দেশ্যে যেসব দেশ তাদের জন্য অর্থ পাঠায় সে অর্থ সেখানে যথাযথভাবে ব্যায় করছে না। রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিশাল একটি বাণিজ্য বাংলাদেশের চলছে। বৈধ অবৈধভাবে অনেক ধরনের সংস্থা এখানে রোহিঙ্গাদের সাইনবোর্ড বানিয়ে কাজ করছে। বাস্তবে রোহিঙ্গারা বেঁচে থাকলেও তাদের বক্তব্য হলো আত্মমর্যাদাহীন অবস্থায় তারা সেখানে আছে। অনেক রোহিঙ্গাদের বক্তব্য জানা যায়, তারা পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে মিয়ানমারে তাদের নিজ বাড়ি ভিটায় চলে যেতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার আপ্রাণ আন্তরিকভাবে চেষ্টা করলেও বাস্তবায়িত হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মহল রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য যেটি করা দরকার, যা করা দরকার তা এখনও হচ্ছে না। ফলে তারা আজকে বেপরোয়া উচ্ছৃঙ্খল। কারও নিয়ম-নীতি তারা মানছে না। আন্তঃকোন্দলে তারা বিভক্ত।
তারা নানা ধরনের অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। এতে এ অঞ্চলসহ বাংলাদেশের মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। এদেশের জনগণের প্রত্যাশা অবিলম্বে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমে এবং আরও যাদের রাখতে হয় জাতীয় আন্তর্জাতিক ফোরাম তৈরি করে তাদের দেশে পূর্ণ নাগরিক অধিকার প্রদান করার মাধ্যমে তাদের দেশে প্রত্যাবর্তন করা হোক। অন্যথায় দেশ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য, এদেশের অর্থনীতি রাজনীতির জন্য তাদের অবস্থান আমাদের জন্য বড় ধরনের হুমকি। এ হুমকি থেকে বাঁচতে হলে জাতীয় আন্তর্জাতিক এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের প্রত্যাবর্তন ত্বরান্বিত করতে হবে। সেটি যতদিন না হবে ততদিন রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করা, তাদের নির্দিষ্ট সীমানায় রাখা বাংলাদেশের পক্ষে কঠিন থেকে কঠিনতর হবে।
আশা করছি, যত দ্রুত সম্ভব বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জোড়ালোভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাবেন এবং সফল হবেন। ড. মোহাম্মদ ইউনূস সরকার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের টেকসই প্রত্যাবর্তনের বাস্তব কর্মসূচি জাতিকে উপহার দেবেন। প্রত্যাশা জনগণের।
মুক্ত লেখক
সয.যড়য়ঁবধহংধৎর@মসধরষ.পড়স

Discussion about this post