শেয়ার বিজ ডেস্ক : দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের স্ত্রী ও সাবেক ফার্স্ট লেডি কিম কিওন হি-কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে কারসাজি ও ঘুষ গ্রহণসহ একাধিক অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তবে নিজের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। খবর: এএফপি।
সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ৫২ বছর বয়সী কিম কিওন হি-র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য প্রসিকিউটরদের আবেদন করার কয়েক ঘণ্টা পরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রমাণ নষ্ট করার ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে প্রসিকিউটররা কিমের কথিত ‘বেআইনি কাজ’ তুলে ধরে ৮৪৮ পৃষ্ঠার মতামত জমা দেয়ার পর আদালত পরোয়ানা মঞ্জুর করেন।
এই গ্রেপ্তারের ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি উভয়কেই কারাগারে পাঠানো হলো।
কিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, পুঁজিবাজার ও আর্থিক বিনিয়োগ আইন লঙ্ঘনের পাশাপাশি রাজনৈতিক তহবিল আইন।
কিমের স্বামী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত বছর ৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন প্রয়োগের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সংসদে সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছিল, কিন্তু বিরোধী দলের এমপিরা তা দ্রুত প্রত্যাখ্যান করেন। এই ঘটনা দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়।
সামরিক আইন জারির কারণে এপ্রিল মাসে সাবেক শীর্ষ আইনজীবী ইউনকে অভিশংসন করে অপসারণ করা হয়, যার ফলস্বরূপ জুন মাসে দেশে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১০ জুলাই থেকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল আটক রয়েছেন।
গত সপ্তাহে কিমকে প্রসিকিউটররা ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। পরের দিন তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
বুধবার প্রসিকিউটরদের কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর কিম বলেন, ‘আমি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নই, তবুও সমস্যা সৃষ্টি করার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’
কিমকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক চলছে, শেয়ার কারসাজিতে তার কথিত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তার বিরুদ্ধে ইউনের দলের এমপিদের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগও রয়েছে, যা নির্বাচনী আইনের লঙ্ঘন।
প্রেসিডেন্ট ইউন তিনটি বিশেষ তদন্ত বিল, যা বিরোধী দল-নিয়ন্ত্রিত সংসদ কর্তৃক পাস করা হয়েছিল, তাতে ভেটো দিয়েছিলেন। এই বিলগুলো কিমের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য আনা হয়েছিল। শেষ ভেটোটি নভেম্বরের শেষের দিকে জারি করা হয়েছিল।
এর এক সপ্তাহ পরে ইউন সামরিক আইন জারি করেন।

Discussion about this post