নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘নির্বাচন যে সময়ে বলা হয়েছে ঠিক সেই সময়ে হবে। আপনারা দেখবেন, একটি সুন্দর পরিবেশে শান্তিপূর্ণ একটা নির্বাচন হবে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে ওয়ান অব দ্য বেস্ট একটা নির্বাচন হবে। আমরা আবারও বলি, নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিশ্চয়তা নেই।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) টেডএক্সের একটি অনুষ্ঠানে গতকাল শনিবার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) ময়নামতি অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে একথা বলেন তিনি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন ভালো হবে। নির্বাচনের জন্য যে পরিবেশ সেটি ঠিক করা হবে এবং লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকবে সবার জন্য। কোনো র্প্রাী বলতে পারবেন না, তার প্রতি কোনো অন্যায় করা হচ্ছে, নির্বাচনের পরিবেশ পাচ্ছেন না। আমরা পরিবেশ নিশ্চিত করব। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হবে। নির্বাচন পেছানোর কোনো শঙ্কা নেই এবং নির্বাচন হবে, খুব ভালোভাবেই হবে।’
পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর কথা হচ্ছে। বুঝতে হবে যে, কথা কিন্তু সবাই বলছে। কেউ কিন্তু কথা থেকে বয়কট করছে না। সবাই কিন্তু ভালো পরিবেশে কর্ডিয়ালি প্রতিদিন কথা বলছেন। অন্যান্য অনেক দেশে এই সমস্ত কথা দুই-তিন চার বছর লেগে যায়। আমাদের পার্টিগুলো যে ধরনের সিনসিয়ারিটি দেখাচ্ছে তাতে দ্রুত অনেক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো যাচ্ছে। আমরা দেখি আটটা বিষয়ে ইতোমধ্যে ঐকমত্যে এসেছে। সাতটি বিষয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। তিনটি বিষয়ে এখনও কথাবার্তা হয়নি। কিন্তু আমরা মনে করি, খুব ভালো একটা কংক্রিট রেজাল্ট আসবে। এর পরেই আমরা আশা করব জুলাই সনে সবাই স্বাক্ষর করবেন। এরপর আমরা নির্বাচনের পরিবেশ করব।’
আন্দোলনে তরুণদের অবদানের কথা উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার মতো মনস্টারকে হটিয়েছে এ দেশের সোনালি প্রজন্ম। সোনালি প্রজন্ম এজন্য বলছি, কারণ আমরা প্রাপ্ত বয়স্করা কিন্তু পারিনি। তারা চেয়েছিল সংস্কার, তারা দেয়ালে লিখেছে এবং সেটা করে দেখিয়েছে। খেবেন বৃষ্টির সময় শেষ হলেই বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে নির্বাচনের হাওয়া বইছে। আমি বলব অনেক বছর বাংলাদেশের ইয়ং ছেলেরা ভোট দিতে পারেননি। আমি বলব, এবারে তরুণরা নির্বাচনের ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহী থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত বছরে সরকার স্বৈরাচারী হয়েছিল আয়নাঘরের মাধ্যমে। বিরোধী মত দমনে আয়নাঘরে পাঠিয়ে দিত। আমরা চাই না আর কোনো আয়নাঘর তৈরি হোক। ভবিষ্যতে আর যেন কোনো আয়নাঘর তৈরি না হয়। একাত্তর এবং জুলাইয়ের পরেও আমাদের সমস্যা হলো দারিদ্র্য। ড. ইউনূস সরকারের লক্ষ্য হলো দারিদ্র্যকে মিউজিয়ামে পাঠানো। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্পিকার ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হায়দার আলী। এ ছাড়া ছিলেন অ্যাসট্রো ফটোগ্রাফার জুবায়ের কাওলিন, চরকির সিইও রেদওয়ান রনি, লেখক ডেলএইচ খান, গায়ক আসিফ আকবর, সংবাদ উপস্থাপক ফারাবি হাফিজ প্রমুখ।

Discussion about this post