শেয়ার বিজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের তুলা উৎপাদনকারীরা বাংলাদেশের বস্ত্র খাতের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে। রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের কৌশলগত সংলাপে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এই সংলাপের লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি।
বাংলাদেশি-আমেরিকান সংস্থা আমেরিবাংলা করপোরেশন বৃহস্পতিবার এই সংলাপের আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশের রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা, শীর্ষ বাণিজ্য কর্মকর্তা, মার্কিন কৃষি খাতের প্রতিনিধি এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মুনাফা-চালিত মধ্যস্থতাকারীদের এড়িয়ে মার্কিন তুলাচাষি এবং বাংলাদেশি টেক্সটাইল মিলগুলোর মধ্যে কৃষক-থেকে-কারখানা সরবরাহ শৃঙ্খল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আমেরিবাংলার সিইও আসওয়ার রহমান বলেন, বর্তমানে পশ্চিম আফ্রিকা, ব্রাজিল বা ভারত থেকে আমদানি করা তুলার তুলনায় প্রতি পাউন্ড মার্কিন তুলার দাম ৫ থেকে ৬ সেন্ট বেশি। তিনি আরও বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সংগ্রহ এই খরচের ব্যবধান দূর করতে পারে। একই সঙ্গে তারা উন্নত মানের পণ্যও সরবরাহ করতে পারে।
আমেরিবাংলার সিইও বলেন, ‘সময়োপযোগী এই আয়োজন এমন এক প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হলো যখন বাংলাদেশি পোশাক খাতের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ চলমান সরকার-টু-সরকার আলোচনায় এখনও বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরে জন্য যথাযথ ও অনুকূল শর্ত অর্জিত হয়নি। এই অনিশ্চয়তা মোকাবিলায়, আমেরিবাংলা একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যার লক্ষ্য হলো বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানিকারক ও মার্কিন তুলা কৃষক ও প্রসেসরদের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা।’
একজন শীর্ষস্থানীয় পোশাক নির্বাহী বলেন ‘আমরা এই ধারণাকে সমর্থন করি, তবে আমাদের দীর্ঘমেয়াদি মূল্য গ্যারান্টি প্রয়োজন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লাভবান হলে, দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।’
এই উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য, আমেরিবাংলা মার্কিন তুলা থেকে তৈরি পোশাক প্রদর্শনের জন্য একটি বিদেশি শোরুম চালু করার পরিকল্পনা করেছে। আশা করা হচ্ছে ভবিষ্যতে মার্কিন বাণিজ্য নীতি বিশ্বব্যাপী রপ্তানিতে দেশীয় তন্তুর ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে।
আমারিবাংলার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আসওয়ার রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরে মধ্যে ছিলেন হামিম গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ, সা গ্রুপ, ডিভাইন গ্রুপ, ট্রু গ্রুপ এবং আরপিএম গ্রুপের নির্বাহীরা, পাশাপাশি বিকেএমই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাশেদ ও পরিচালক মিনহাজুল হক, টুইনে নাগেলের বরকত উল্লাহ সাঈদ এবং আমেরিবাংলার সিনিয়র উপষ্টো ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমে খান উপস্থিত ছিলেন।

Discussion about this post