নিজস্ব প্রতিবেদক: চীনের বিভিন্ন শিল্পখাত থেকে আগত বিনিয়োগকারীদের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে আলোচনায় নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান। চীনা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বৈশ্বিক ফ্যাশন পার্টনার বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফ্রাঙ্ক য়ি।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সহ-সভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক রুমানা রশীদ এবং পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল।
চীনা প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন টেক্সটাইল, ফেব্রিক্স ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ, আইটি, এআই ও সাপ্লাই চেইন প্রযুক্তি, হাইটেক শিল্প, শিক্ষা ও কারিগরি গবেষণা, আইনি পরামর্শ ও বিরোধ নিষ্পত্তি প্রভৃতি শিল্প ও সেবাখাতের প্রতিনিধিত্বকারীরা।
আলোচনায় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণ, বিশেষ করে পোশাক শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ খাত-ম্যান মেইড ফাইবার সহ শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু খাতে যৌথ বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। বৈঠকে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ উচ্চ মূল্যের পণ্য, বিশেষ করে ম্যান মেইড ফাইবার-ভিত্তিক পোশাক উৎপাদন এবং সেই সঙ্গে আরও উচ্চমূল্যের পোশাক তৈরিতে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ যে ক্রমবর্ধমানভাবে প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি আপগ্রেড করার উপর জোর দিচ্ছে, তা তুলে ধরেন।
সভায় বিজিএমইএ সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে, খরচ কমাতে এবং লিড টাইম কমাতে এমএমএফ ভিত্তিক টেক্সটাইল, কেমিক্যাল ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতে যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য চীনা ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানান। পাশাপাশি তিনি এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় এআই চালিত প্রযুক্তি, ইন্টিগ্রাল সাপ্লাই চেইন, থ্রিডি ফটোপ্রোপাইটিং, এবং ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট এর মতো খাতগুলোতে চীনা সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে বিজিএমইএ পরিচালক ফয়সাল সামাদ দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিবিড় যোগাযোগের উপর গুরুত্ব দেন।
তিনি আগামী জানুয়ারি মাসে বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উদ্যোগে ও সহযোগিতায় বিজিএমইএ ও চীনা ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি নিবিড় সমন্বয় সভা করার প্রস্তাবনা দেন। একইসঙ্গে, তিনি শিক্ষা ও গবেষণার জন্য চীনের চেউং কং গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসের সঙ্গে বিজিএমইএ একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর করার প্রস্তাবও দেন।
ফয়সাল সামাদ আরও উল্লেখ করেন যে, যেহেতু বাংলাদেশের পোশাক খাত চীন থেকে ফেব্রিক্স আমদানি করে, তাই অনেক সময় সংশ্লিষ্ট দুই পক্ষের মধ্যে ব্যবসায়িক বিরোধ দেখা দেয়। এই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য চীনা ল ফার্ম একটি কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে। এতে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।
চীনা প্রতিনিধিদলটি নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে যৌথ বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
প্রতিনিধিদলটি বিজিএমইএ নেতাদের চীনের বড় বড় ফেব্রিক্স উৎপাদনকারী কেন্দ্র পরিদর্শনে আমন্ত্রণ জানান। জানুয়ারিতে একটি সভা করার বিষয়ে দুই পক্ষই ঐকমত্য পোষণ করে।
প্রিন্ট করুন








Discussion about this post