শেয়ার বিজ ডেস্ক : ঘটনার ৬ দিন কেটে গেলেও উদ্ধার করা যায়নি পশ্চিমবঙ্গের মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া ছাই বোঝাই বাংলাদেশি জাহাজ। আর এতে একটু একটু করে নদীর পানিতে মিশছে জাহাজের তেল ও মজুদ ছাই। ফলে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ভুগছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষজন। খবর-কলকাতা ব্যুরো
গত বৃহস্পতিবার ‘এমভি সোহান মালতি’ নামের বাংলাদেশি জাহাজটি পশ্চিমবঙ্গের বজবজ পাওয়ার প্লান্ট থেকে থেকে ছাই (ফ্লাই অ্যাশ) নিয়ে ফিরছিল। ওইদিন বিকেল নাগাদ জাহাজটির তলদেশ ফেটে পানি ঢুকতে শুরু করে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাঝ নদীতে বার্জটি দুলতে থাকে। শুক্রবার সকালে বার্জটি প্রায় সম্পূর্ণ নদীর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে। যদিও সেসময় জাহাজটিতে থাকা ৮ জন নাবিককে উদ্ধার করে স্থানীয় মৎস্যজীবী ও উপকূল রক্ষী বাহিনী। তবে উদ্ধার হওয়া এই আটজন নাবিককে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে যেমন কোনো উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। তেমনি ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধারেও ধীরগতি রীতিমতো নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি জাহাজটিকে মজু থাকা তেল ও ছাই ইতিমধ্যেই নদীর পানিতে মিশতে শুরু করেছে। এমন অবস্থায় জাহাজটিকে দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব না হলে নদীর প্রাণিসম্পদের বড় ক্ষতি হবে। ক্ষতি হবে নদীর ওপর নির্ভর করে থাকা শত শত মৎস্যজীবী পরিবারেরও। স্থানীয়দের দাবি ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে দিনে কিংবা রাতে কোনো রকম সিগন্যাল লাইটের ব্যবস্থা করেনি পোর্ট ট্রাস্ট। ফলে একই এলাকায় আবারও বিপদের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
যদিও গত সোমবার দেখা যায়, নদীতে হালকা ভেসে থাকা জাহাজটি থেকে বস্তায় বস্তায় ছাই তোলা হচ্ছে। জাহাজটিতে কর্মরত হোসেন খাঁ বলেন, জাহাজ থেকে ছাই বস্তায় করে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ছাই খালি না করা পর্যন্ত জাহাজটি তোলা সম্ভব নয়। ছাই খালি করে ঠিক কবে জাহাজ উদ্ধার করা হবে সেই বিষয়েও তিনি কিছু জানাতে পারেননি।

Discussion about this post