সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫
২৪ কার্তিক ১৪৩২ | ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭
  • ♦ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শেয়ার বিজ
Advertisement
  • ☗
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • সারা বাংলা
  • পত্রিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
    • পুঁজিবাজার
    • সম্পাদকীয়
    • ফিচার
  • রাজনীতি
  • তথ্য-প্রযুক্তি
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • অর্থ ও বাণিজ্য
    • করপোরেট কর্নার
    • মূল্য সংবেদনশীল তথ্য
  • ফটো গ্যালারি
  • পুরনো নিউজ
➔ ই-পেপার
No Result
View All Result
  • ☗
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • সারা বাংলা
  • পত্রিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
    • পুঁজিবাজার
    • সম্পাদকীয়
    • ফিচার
  • রাজনীতি
  • তথ্য-প্রযুক্তি
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • অর্থ ও বাণিজ্য
    • করপোরেট কর্নার
    • মূল্য সংবেদনশীল তথ্য
  • ফটো গ্যালারি
  • পুরনো নিউজ
No Result
View All Result
শেয়ার বিজ
No Result
View All Result

খাদ্য সংকটে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখ হনুমান

Share Biz News Share Biz News
শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫.২:২৫ পূর্বাহ্ণ
বিভাগ - জাতীয়, পত্রিকা, শেষ পাতা, সারা বাংলা ➔ প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন
A A
খাদ্য সংকটে এলাকা ছাড়ছে কালোমুখ হনুমান
9
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare on Linkedin

মীর কামরুজ্জামান মনি, যশোর : যশোরের কেশবপুরে বেড়ে চলেছে ঐতিহ্যবাহী কালোমুখ হনুমানের সংখ্যা। এক সময় বিলুপ্তপ্রায় এ প্রজাতির হনুমান নতুন করে প্রাণ ফিরে পেলেও এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট ও নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব। তাছাড়া তারা নিজেরাও প্রায়ই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সব মিলিয়ে এসব হমুমানের বড় একটা অংশ এলাকা ছেড়ে আশপাশের উপজেলা ও জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা, বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে কেশবপুরে কালোমুখ হনুমানের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০০। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার শতাধিক। উপজেলা বন কর্মকর্তা সমীরণ বিশ্বাস জানান, শুধু উপজেলা পরিষদ চত্বরেই শতাধিক হনুমানের দেখা মেলে। উপজেলা হাসপাতাল এলাকা, বালিয়াডাঙ্গা মন্দির, হরিহর নদীর ধারের মহাশ্মশান, খতিয়াখালী ও পুলেরহাট বাজার-এসব এলাকাতেও তাদের বিচরণ বেড়েছে।

বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ দপ্তর জানায়, এই প্রজাতির হনুমান প্রায় দুই শতাব্দী ধরে কেশবপুর ও মণিরামপুর অঞ্চলে বসবাস করছে। তাদের গড় আয়ু ১৮ থেকে ৩০ বছর। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর এবং ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই প্রাণীটির প্রজনন মৌসুম। স্ত্রী হনুমান ২০০ থেকে ২১২ দিন গর্ভধারণের পর এক থেকে দুটি বাচ্চা প্রসব করে। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন)-২০১২ অনুযায়ী, কালোমুখ হনুমান সংরক্ষিত প্রজাতির তালিকাভুক্ত। এর বৈজ্ঞানিক নাম সিমনোপিথিকাস এনটিলাস।

কেশবপুর পৌরসভার বাসিন্দা রেজাউল করিম বলেন, ‘কালোমুখ হনুমান আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু নিরাপদ আশ্রয় আর পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে এখন তারা অন্যত্র যাচ্ছে। সরকার চাইলে তাদের সংরক্ষণে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে।’

বালিয়াডাঙ্গা মোড়ের ব্যবসায়ী মো. সেলিম বলেন, ‘খাবারের অভাবে প্রায়ই তারা দোকানে ঢুকে খাবার নিয়ে যায়। কয়েকদিন আগে আমার দোকান থেকে ২০ থেকে ২৫ প্যাকেট চিপস নিয়ে পালিয়েছে।’

একই অভিজ্ঞতার কথা বললেন সুজাপুরের কৃষক আব্দুল হালিম। তার ভাষায়, ‘আমার ঘরের টালি ভেঙে ভেতরে ঢুকে জিনিসপত্র তছনছ করেছে। খুব অত্যাচার করে ওরা।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, একসময় একটি বেসরকারি সংস্থা হনুমানদের জন্য ফলদ ও বনজ বৃক্ষরোপণের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় প্রকল্পটি টিকেনি। ফলে খাদ্যাভাব, আশ্রয় সংকট, বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মৃত্যু এবং মানুষের নির্যাতনে প্রায়ই হনুমান মারা যাচ্ছে। কথিত আছে, ব্রিটিশ আমলে দক্ষিণ ভারতের কয়েকজন মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী ব্যবসার উদ্দেশ্যে কেশবপুরে এসে সঙ্গে করে কয়েকটি কালোমুখ হনুমান এনেছিলেন। সেগুলোই বংশবৃদ্ধি করে আজকের ‘হনুমান নগরী’র রূপ নিয়েছে। স্থানীয় প্রবীণরা জানান, স্বাধীনতার আগে এখানে প্রায় দুই হাজারের মতো হনুমান ছিল। বন উজাড়, গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া ও মানুষের অত্যাচারে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, খাবার সরবরাহকারী ঠিকাদারের কর্মচারী আতিয়ার রহমান হনুমানদের জন্য নিয়ে এসেছেন পাকা কলা, বাদাম, বনরুটি ও আলু। তিনি জানান, প্রতিদিন পাঁচটি স্পটে সকাল-বিকাল দুই দফায় খাবার দেয়া হয়। খাবারের মধ্যে থাকে-৪৭ কেজি পাকা কলা, ৬ কেজি ৭০০ গ্রাম বনরুটি, ৭ কেজি ৩০০ গ্রাম বাদাম, ৬ কেজি ৮০০ গ্রাম আলু এবং পালাক্রমে বিভিন্ন সবজি। তিনি বলেন, প্রায় ১৮ বছর ধরে আমি হনুমানদের খাবার দিচ্ছি।

খাবার সরবরাহকারী তুহিন এন্টারপ্রাইজের মালিক ইয়াসির আরাফাত সান জানান, ‘দুই বছর ধরে টেন্ডারের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করছি। প্রতিদিন উপজেলা পরিষদ থেকে মেপে খাবার দেয়া হয়, তাই কারচুপির সুযোগ নেই।’

সামাজিক বন বিভাগের যশোর রেঞ্জ অফিসার এম এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘কেশবপুরে চার শতাধিক হনুমান আছে। তবে তারা এক জায়গায় স্থায়ী থাকে না। প্রতিটি দলে এক বা দুটির বেশি পুরুষ হনুমান থাকলে নিজেরাই সংঘর্ষে জড়িয়ে অন্যত্র চলে যায়। অভয়ারণ্য তৈরি করলেও তাদের আটকে রাখা কঠিন।’

তিনি আরও জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হনুমানদের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। সামাজিক বন বিভাগের আওতায় কেশবপুর ও ঝিনাইদহের মহেশপুরে খাবারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। আগামী মাসে নতুন টেন্ডার আহ্বান করা হবে।

‘প্রতিবছর খাবার বাবদ প্রায় ২০ লাখ টাকার বরাদ্দ থাকে, যার মধ্যে কেশবপুরেই ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়,’ বলেন তিনি।

স্থানীয়রা বলছেন, হনুমান শুধু কেশবপুরের ঐতিহ্য নয়, এ অঞ্চলের মানুষের আবেগের অংশও। তাই এই বন্যপ্রাণীর সুরক্ষা নিশ্চিত করা মানে প্রকৃতি ও ঐতিহ্য দুটোই রক্ষা করা।

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন
Previous Post

প্রযুক্তির নতুন নগরী রাজশাহী

Next Post

কোনো উত্তাপই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: শফিকুল আলম

Related Posts

পত্রিকা

কপ৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশের দাবি: বিশ্বকে ন্যায়বিচারের আহ্বান

ট্রাম্পের হুমকির পর ভেনেজুয়েলার পাশে পুতিন
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের হুমকির পর ভেনেজুয়েলার পাশে পুতিন

পত্রিকা

পলাতক ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

Next Post

কোনো উত্তাপই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: শফিকুল আলম

Discussion about this post

সর্বশেষ সংবাদ

কপ৩০ সম্মেলনে বাংলাদেশের দাবি: বিশ্বকে ন্যায়বিচারের আহ্বান

ট্রাম্পের হুমকির পর ভেনেজুয়েলার পাশে পুতিন

ট্রাম্পের হুমকির পর ভেনেজুয়েলার পাশে পুতিন

পলাতক ফ্যাসিস্টদের ষড়যন্ত্র রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামির আঘাত

যৌক্তিক দামে পেঁয়াজ বিক্রি নিশ্চিত করতে হবে




 

আর্কাইভ অনুসন্ধান

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 ১
২৩৪৫৬৭৮
৯১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  

প্রকাশক ও সম্পাদক ✍ মীর মনিরুজ্জামান

তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৪৮

একটি শেয়ার বিজ প্রাইভেট লি. প্রতিষ্ঠান

(প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রয়োজন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে)

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়

বিএসইসি ভবন (১০ তলা) ॥ ১০২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ ॥ ☎ 01720123162, 01768438776

  • ♦ বাংলা টেক্সট কনভার্টার

Copyright © 2025 Daily Share Biz All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

No Result
View All Result
  • ☗
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • সারা বাংলা
  • পত্রিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
    • পুঁজিবাজার
    • সম্পাদকীয়
    • ফিচার
  • রাজনীতি
  • তথ্য-প্রযুক্তি
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • অর্থ ও বাণিজ্য
    • করপোরেট কর্নার
    • মূল্য সংবেদনশীল তথ্য
  • ফটো গ্যালারি
  • পুরনো নিউজ

Copyright © 2025 Daily Share Biz All right reserved. Developed by WEBSBD.NET