শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫
৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | ২৪ মহর্‌রম ১৪৪৭
  • ♦ বাংলা টেক্সট কনভার্টার
শেয়ার বিজ
আমাদের ওয়েবসাইট সংস্কার চলছে সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখিত! পুরনো খবর দেখতে আর্কাইভ ভিজিট করুন..
  • ☗
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • সারা বাংলা
  • পত্রিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
    • পুঁজিবাজার
    • সম্পাদকীয়
    • ফিচার
  • রাজনীতি
  • তথ্য-প্রযুক্তি
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • অর্থ ও বাণিজ্য
    • করপোরেট কর্নার
    • মূল্য সংবেদনশীল তথ্য
  • ফটো গ্যালারি
  • পুরনো নিউজ
➔ ই-পেপার
No Result
View All Result
  • ☗
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • সারা বাংলা
  • পত্রিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
    • পুঁজিবাজার
    • সম্পাদকীয়
    • ফিচার
  • রাজনীতি
  • তথ্য-প্রযুক্তি
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • অর্থ ও বাণিজ্য
    • করপোরেট কর্নার
    • মূল্য সংবেদনশীল তথ্য
  • ফটো গ্যালারি
  • পুরনো নিউজ
No Result
View All Result
শেয়ার বিজ
No Result
View All Result

দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মহত্যার হার শীর্ষে ও জন্মহার তলানিতে

Rodela Rahman Rodela Rahman
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫.১২:০৭ পূর্বাহ্ণ
বিভাগ - আন্তর্জাতিক, পত্রিকা ➔ প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন
A A
দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মহত্যার হার শীর্ষে ও জন্মহার তলানিতে
0
VIEWS
Share on FacebookShare on TwitterShare on Linkedin

শেয়ার বিজ ডেস্ক : উন্নত প্রযুক্তি, কে-পপ ও কে-ড্রামা দিয়ে বিশ্বকে প্রভাবিত করে, এমন একটি গতিশীল ও প্রাণবন্ত দেশের ভবিষ্যৎ বেশ অন্ধকারাচ্ছন্ন। বিশ্বের দরবারে দক্ষিণ কোরিয়ার সামগ্রিক চিত্র যেভাবে তুলে ধরা হয়, তার থেকে আলাদা এ দেশটির বাস্তব অবস্থা। দেশটির ভেতরে রয়েছে অন্য একটি ‘দেশ’।

দক্ষিণ কোরিয়ার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে কোরিয়ান ব্যান্ড থেকে শুরু করে সিরিয়াল ও সিরিজগুলো। ‘কোরিয়ান ড্রামা’ অথবা রোমান্টিক ঘরানার সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজের দিকে বরাবর দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কোরিয়ান সিনেমা নির্মাতারা। চীনের উপকণ্ঠে অবস্থিত এ দেশটির বিনোদন জগৎ নিয়ে ভারতসহ সমগ্র বিশ্বের উৎসাহের অন্ত নেই। কিন্তু ড্রামায় দেশটির সামগ্রিক চিত্র যেভাবে তুলে ধরা হয়, তার বাস্তবতা ভিন্ন। আত্মহত্যা, মদপান, উদ্বেগ ও হতাশার হার সর্বোচ্চ দক্ষিণ কোরিয়ায়।

এই সামাজিক ব্যাধিগুলো ধীরে ধীরে ঝাঁজরা করে দিচ্ছে কোরিয়ার তরুণ প্রজন্মকে। আর কোরিয়ার শিক্ষাব্যবস্থাও বড় অংশে দায়ী বলে মনে করা হয়। কারণ দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষাব্যবস্থার শিকড়েই রয়েছে সমস্যা। কারণ প্রাথমিক পাঠেই শিশুদের মধ্যে চালিয়ে দেয়া হয় প্রতিযোগিতার বীজ। স্কুলগুলোয় অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে শিশুদের শিক্ষাদান শুরু হয়। কোরিয়ার শিক্ষাব্যবস্থার ভিত্তি এতটাই কঠোর যে, মাত্র চার বছর বয়সে প্রাথমিক বিভাগেই প্রবন্ধ লেখায় হাত পাকানো শুরু করতে হয়। মাত্র ১৫ মিনিটে বড় বড় প্রবন্ধ লেখার কৌশল আয়ত্ত করতে হয় একরত্তি পড়ুয়াদের। এ বয়সে অন্যান্য দেশে ভালোভাবে পেন বা পেনসিল ধরতেই পারে না পড়ুয়ারা।

স্কুলশিক্ষার পাশাপাশি বাইরে গৃহশিক্ষকদের কাছে পড়তে পাঠানো হয়। অঙ্ক, ইংরেজি ও সাহিত্যের পাশাপাশি খেলাধুলা এবং শিল্পকলাতেও দক্ষ করে তুলতে বাবা-মায়েরা তাদের ছেলেমেয়েকে এই গড্ডলিকা প্রবাহে ঠেলে দেন। তাদের এমন পাঠ দেওয়া হয়, যাতে তাদের মনে ‘সবকিছু পেতেই হবে’ এমন একটি প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা তৈরি হয়ে যায় শৈশবেই। আর হাইস্কুলের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের নির্ধারিত সময়ের পর মধ্যরাত পর্যন্ত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। অভিভাবকরা ‘প্রাইভেট টিউশন’কে সন্তানের জন্য বিনিয়োগ বলে ধরে নেন। তারা ধরে নেন এটিই সন্তানের ভবিষ্যতের ভিত্তি। আর এভাবেই দক্ষিণ কোরিয়ায় গৃহশিক্ষকতার ‘বাজার’ লাভজনক বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুসারে, এ দেশে ২৯ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয় শুধু ছাত্রছাত্রী পড়িয়েই।

এ অত্যধিক প্রতিযোগিতার অভিশাপের ফল পেতে শুরু করেছে বর্তমান প্রজন্ম। দক্ষিণ কোরিয়ার ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা মানসিক অসুস্থতায় রূপ নিচ্ছে। ফলে  বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। ২০২৫ সালের গোড়ার দিকে একটি আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মহত্যার সংখ্যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে গেছে।

‘কোরিয়া ফাউন্ডেশন ফর সুইসাইড’-এর তথ্য অনুসারে, গত বছর মোট ১৪ হাজার ৪৩৯টি আত্মহত্যার ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছিল, দৈনিক গড়ের হিসাবে যা ৩৯ দশমিক ৫। শুধু তাই নয়, ২০২৪ সালে প্রতি এক লাখ কোরীয় অধিবাসীর মধ্যে ২৮ দশমিক ৩ জন আত্মহত্যা করেছে। আর এটাই প্রমাণ করে, তরুণ প্রজন্ম অসুস্থ প্রতিযোগিতা সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

২০৬০ সালে দেশটিতে শুধু বৃদ্ধরাই বেঁচে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনিতেই দক্ষিণ কোরিয়ায় জন্মহার খুবই কম। তার ওপর জীবনযাত্রার জটিল পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সন্তান জন্ম না দেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। গড় জন্মহারে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে।

এ ছাড়া যেসব দেশে কয়েক দশক ধরে নবজাতকের সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। বিশ্বব্যাপী উন্নত দেশগুলোয় জন্মের হার কমতে দেখা গেছে, তবে কোরিয়ার মতো চরম সংকটের মুখোমুখি নয় কোনো দেশই। দেশটির জন্মহার এতটাই নেমে গেছে যে, এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে শতাব্দীর শেষ নাগাদ দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা বর্তমানের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশে সংকুচিত হয়ে যেতে পারে।

একটি দেশের সুস্থ ও স্থিতিশীল জনসংখ্যা বজায় রাখার জন্য এই গড়ের প্রয়োজনীয় মান হলো ২ দশমিক ১। অর্থাৎ একজন দক্ষিণ কোরীয় তরুণীকে কমপক্ষে দুজন শিশুর জন্ম দিতে হবে। কমতে কমতে এখন জন্মহার এসে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশে, যা সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তরুণ প্রজন্মের দম্পতিরা একজন শিশুকেও জন্ম দিতে নারাজ।

দক্ষিণ কোরিয়া বর্ণবাদী দেশ। চামড়ার রং থেকে শুরু করে মুখের গড়ন ও বাহ্যিক সৌন্দর্যই কোরীয় সমাজে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। আর এ বাহ্যিক সৌন্দর্যকে এতটাই প্রাধান্য দেয়া হয় যে, কলেজ পাস করার পর ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পান প্লাস্টিক সার্জারির খরচ। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নিজেদের আরও ‘সুন্দর’ করে তোলেন তারা। সে দেশে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন তরুণী প্লাস্টিক সার্জারি করান।

দেশের বিভিন্ন সংস্থায় চাকরির ইন্টারভিউতেও সৌন্দর্যকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়। কে কত সুন্দর দেখতে, কার গায়ের রং কতটা উজ্জ্বল ও ফর্সা, তার ভিত্তিতে চাকরি দেয়া হয়। সৌন্দর্য ও বর্ণের ভিত্তিতে বৈষম্য কোরিয়ার চাকরির বাজারে একসময় এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, নিয়োগ নিশ্চিত করার আগে কোনো কর্মচারীর মুখ না দেখার নিয়ম চালু হয়েছিল বেশ কিছু সংস্থায়। আর কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর কোরীয় চাকরিজীবীদের জীবন থেকে অবসর সময় বা ব্যক্তিগত সময় নামক বস্তুটি উধাও হয়ে যায়। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কাজ করার কারণে তাদের ব্যক্তিগত জীবন তলানিতে ঠেকেছে।

এ ছাড়া উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করার জন্য পরিচিতি রয়েছে দেশটির। ২০২১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ানরা বছরে গড়ে ১ হাজার ৯১৫ ঘণ্টা কাজ করেছিলেন, যা নির্দিষ্ট মাপকাঠির চেয়ে প্রায় ২০০ ঘণ্টা বেশি। সে কারণে অতিরিক্ত কাজের চাপ প্রভাব পড়েছে ব্যক্তিগত জীবনেও।

ন্যাশনাল হেল্থ ইন্স্যুরেন্স সার্ভিসের গবেষণা বলছে, শুধু কিশোর-কিশোরী নয়, জীবনযাত্রার মান পরিবর্তনের কারণে অকালে বুড়িয়ে যাচ্ছেন সেখানকার তরুণ-তরুণীরাও। ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, গাউট ও আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

প্রিন্ট করুন প্রিন্ট করুন
Previous Post

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র খরা আমন রোপণ ব্যাহত

Next Post

বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

Related Posts

নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে ইউক্রেন
আন্তর্জাতিক

নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে ইউক্রেন

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক, ঝুলে আছে একীভূতকরণ
অর্থ ও বাণিজ্য

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক, ঝুলে আছে একীভূতকরণ

বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
আন্তর্জাতিক

বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

Next Post
বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

Discussion about this post

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে ইউক্রেন

নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছে ইউক্রেন

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক, ঝুলে আছে একীভূতকরণ

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক, ঝুলে আছে একীভূতকরণ

বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

বাণিজ্য চুক্তির খুব কাছাকাছি ভারত-যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মহত্যার হার শীর্ষে ও জন্মহার তলানিতে

দক্ষিণ কোরিয়ায় আত্মহত্যার হার শীর্ষে ও জন্মহার তলানিতে

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র খরা আমন রোপণ ব্যাহত

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র খরা আমন রোপণ ব্যাহত




 

আর্কাইভ অনুসন্ধান

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 ১২৩৪৫
৬৭৮৯১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  

4141758383300286




প্রকাশক ও সম্পাদক ✍ মীর মনিরুজ্জামান

তথ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের নিবন্ধন নম্বরঃ ৪৮

একটি শেয়ার বিজ প্রাইভেট লি. প্রতিষ্ঠান

(প্রকাশিত কোনও সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রয়োজন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে)

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়

বিএসইসি ভবন (১০ তলা) ॥ ১০২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ ॥ ☎ +৮৮-০২-৫৫০১১৮৪১

  • ♦ বাংলা টেক্সট কনভার্টার

Copyright © 2025 Daily Share Biz All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

No Result
View All Result
  • ☗
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • সারা বাংলা
  • পত্রিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
    • পুঁজিবাজার
    • সম্পাদকীয়
    • ফিচার
  • রাজনীতি
  • তথ্য-প্রযুক্তি
  • স্পোর্টস
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • স্বাস্থ্য
  • অর্থ ও বাণিজ্য
    • করপোরেট কর্নার
    • মূল্য সংবেদনশীল তথ্য
  • ফটো গ্যালারি
  • পুরনো নিউজ

Copyright © 2025 Daily Share Biz All right reserved. Developed by WEBSBD.NET