নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জ শহরের দীর্ঘস্থায়ী জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য দায়ী পুরোনো খোয়াই নদী দখলমুক্ত করার দাবিতে এক নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’-এর উদ্যোগে এবং খোয়াই নদীপারের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় শহরের শ্যামলী এলাকার অরবিট স্কুল প্রাঙ্গণে এই সভা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও বিশিষ্ট পরিবেশ আন্দোলনকর্মী শরীফ জামিল। তিনি বলেন, ‘নদী রক্ষার নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নের আড়ালে যেভাবে দখলদারদের বৈধতা দেয়া হয়েছে, হবিগঞ্জবাসী সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি হতে দেবে না। পুরোনো খোয়াই উদ্ধার না করে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়।’
সভায় আরও বক্তব্য দেন ধরার আজীবন সদস্য ও সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. জহিরুল হক, বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ইকরামুল ওয়াদুদ, হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, অ্যাডভোকেট হাসবি সাঈদ চৌধুরী, সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, আকলু মিয়া, ফয়সল আহমদ, আবদুল বাসিত প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে ড. জহিরুল হক বলেন, ‘পুরোনো খোয়াই নদী হচ্ছে হবিগঞ্জের ফুসফুস। এই নদী সংরক্ষণে গঠনমূলক পদক্ষেপ না নিলে শহরের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়বে।’
ধরা হবিগঞ্জের সদস্য সচিব ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ‘মাছুলিয়া থেকে বগলাবাজার পর্যন্ত নদীর দখল থেমে নেই। ব্যক্তিপর্যায়ের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাও নদীর জায়গা দখল করেছে। এই দখলদারদের উচ্ছেদ এবং নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে।’
সভায় বক্তারা আরও বলেন, নদী সংরক্ষণের জন্য জরুরি ভিত্তিতে পুরোনো খোয়াই নদীর বৈজ্ঞানিক ও স্থানীয় মতামতের ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে দখল-দূষণ বন্ধে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তারা।

Discussion about this post