নিজস্ব প্রতিবেদক : একজন সাবেক সংসদ সদস্যের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা আদায় করতে গিয়ে পাঁচজন সমন্বয়ক গ্রেপ্তার হয়েছেন। পত্রিকায় এমন খবর দেখে বেদনায় নীল হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণ-অভ্যুত্থানের মাসব্যাপী কর্মসূচিতে জাতীয়তাবাদী যুবদলের গ্রাফিতি অংকন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গতকাল সোমবার তিনি এ কথা জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ যখন পত্রিকা খুললাম, বেদনায় একেবারে নীল হয়ে গেছি। দেখলাম, পাঁচজন সমন্বয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা জোর করে একটি বাড়ি থেকে, একজন সাবেক সংসদ সদস্যের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা আদায় করেছে। এই কি পরিণতি? এটিই কি আমরা চেয়েছিলাম? দেশের মানুষ কেউ কি এটা চেয়েছিল? এত তাড়াতাড়ি যদি এই ঘটনা ঘটে, এক বছরও হয়নি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ কী?’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রতি মুহূর্তে সংস্কারের কথা বলছেন। পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষারোপের চেষ্টা করছেন। বলার চেষ্টা করছেন যে আমরা সহযোগিতা করছি না। তাদের এ কথাগুলো ঠিক নয়। তর্ক-বিতর্ক ও নিজেদের কোন্দলে দেশ ফের পিছিয়ে যেতে পারে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে একটা পরিত্যক্ত কারাগারে পাঠানো হয়েছিলÑউল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই বিষয়গুলো নিয়ে কেউ এখন কথা বলে না। দেশে গণতন্ত্রের জন্য খালেদা জিয়া জীবনের সবকিছু ত্যাগ করেছেন। তাকে নিয়ে কথা বলার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে, খুন-গুম করা হয়েছে, নির্যাতন-নিপীড়ন করা হয়েছে। গত জুলাই মাসেও আমাদের সব অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের গ্রেপ্তার করে ডিবি অফিসে নিয়ে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। সিনিয়র নেতাদেরও অত্যাচার করা হয়েছে। কিন্তু একবারের জন্য আমাদের নেতারা আত্মসমর্পণ করেননি। আমাদের কোনো নেতাই সেদিন মুচলেকা দেননি।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু কয়েকটি দল, কয়েকটি ছেলে নয়। পাঁচ বছরের শিশু থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বয়স্ক মানুষ সেদিন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছিল।’

Discussion about this post