তুর্কি ড্রোন কিনছে সৌদি আরব

শেয়ার বিজ ডেস্ক: তুর্কি ড্রোন কিনতে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব। উপসাগরীয় তিন দেশ সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে সফরকালে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। তার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। খবর: আল জাজিরা।

তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম উপসাগরীয় দেশগুলোর উদ্দেশে বেরিয়েছেন এরদোয়ান। তুরস্কের মুদ্রা লিরার পতন এবং অর্থনৈতিক সংকটের লাগাম টানতে হিমশিম খাচ্ছে এরদোয়ান প্রশাসন। এ অবস্থায় তুরস্কে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে গত সোমবার সৌদিতে সফরে যান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।

তুর্কি বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সংক্রান্ত আলোচনা এবং ফোরামে অংশ নিয়েছেন তিনি। উভয় দেশ জ্বালানি, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা শিল্পসহ কয়েকটি খাতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

সৌদি গেজেট জানিয়েছে, তুর্কি প্রতিরক্ষা সংস্থা বেইকার ও সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্বাক্ষরিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এরদোয়ান ও সৌদি যুবরাজ সালমান।

সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আল সৌদ গতকাল মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় জানান, সৌদির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তুতি বাড়াতে ড্রোন কেনা হবে।

তবে কত টাকার চুক্তি হলো, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি রিয়াদ। সোমবার ইস্তাম্বুল ছাড়ার আগে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছিলেন, সফরের সময় আমাদের প্রাথমিক এজেন্ডা হবে আগামী দিনগুলোয় এই দেশগুলোর সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম। তার সঙ্গে সফর করছেন দেশটির ২০০ ব্যবসায়ী।

গত মাসে তুরস্কে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৩৮ শতাংশ, গত বছরের অক্টোবরে যা ছিল ৮৫ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর একপর্যায়ে সৌদি আরবে তুর্কি পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হয়। ২০২০ সালের অক্টোবরে সৌদি চেম্বার অব কমার্সের প্রধান বলেন, আমদানি, বিনিয়োগ ও পর্যটনসহ তুরস্কের সবকিছু বর্জন করা প্রত্যেক সৌদি নাগরিকের দায়িত্ব। এর কিছু দিনের মাথায় সৌদি দোকানপাট থেকে উধাও হয়ে যেতে থাকে তুর্কি পণ্যসামগ্রী। ২০২১ সালে এসে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করে। দুই দেশের মধ্যে বৈরিতা দূর হয়।