উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা

২০০ কোটি টাকার বেশি পাচারকারী অনেকেই চিহ্নিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, কিছু সেনসিটিভ কেসের (স্পর্শকাতর ব্যক্তির পাচার করা অর্থ) পাচার করা অর্থ ফেরত আনার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। পাচার করা টাকা ফেরত আনার প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন দেশ জড়িত, তবে পাচার করা টাকা ফেরত আনা সম্ভব। ২০০ কোটি টাকার বেশি যারা পাচার করেছেন, তাদের অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচার করা টাকা বিশাল অঙ্কের। সব টাকা ফেরত আনতে তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। এ জন্য কিছু আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আবার ওইসব আইনি পদক্ষেপ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জড়িত। আগামী মাসে এসব বিষয়ে আরেকটু ভালো জানতে পারবেন। কয়েকশ’ কোটি ডলার ফেরত আনার চেষ্টা করছেন, এটা কি সম্ভব? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এটা সম্ভব। ২০০ কোটি টাকার ওপর যারা পাচার করেছেন, তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে হয়তো আমরা আনতে পারব।’ তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু ‘সেনসিটিভি কেস’ দেখছি।’

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গত ১৫ বছরে যে টাকা পাচার করা হয়েছে, তা ফিরিয়ে আনার জন্য বিশেষ একটি আইন করতে যাচ্ছে সরকার। অধ্যাদেশ আকারে খুব শিগগির এই আইন হবে। গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছিল। শ্বেতপত্রের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৯ থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার করা হয়। এর মধ্যে ১৭ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয় ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে।