প্রতিনিধি, সাভার: ঢাকার আশুলিয়ার নয়ারহাট বাজার এলাকায় গত ৯ই মার্চ রাতে স্ত্রীর সামনে স্বর্ণ ব্যবসায়ী দিলীপ দাস (৪৭) কে কুপিয়ে হত্যা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকার সাভার, আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এছাড়াও গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে লুট হওয়া স্বর্ণের মধ্য থেকে ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার, স্বর্ণ বিক্রির ৭৬ হাজার টাকা এবং হত্যায় ব্যবহৃত দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ই মার্চ) দুপুরে আশুলিয়া থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানাধীন পিটুয়া বন্দের বাড়ি এলাকার মো. হক ভুইয়ার ছেলে মো. রিপন মিয়া (৪০), পাবনার সুজানগর থানাধীন চর ভবানীপুর শেখ পাড়া এলাকার জোনাই প্রামাণিকের ছেলে মোঃ আরিফ প্রামাণিক(৩০), পাবনার আতাইকুলা থানার সরাডাঙ্গী এলাকার মৃত করিম শেখের ছেলে মোঃ শাহ আলম (৪৫) ও মো. আরমান শেখ, রাজশাহীর কর্নহার থানার রাধানগর শল্লাপাড়া মোড় এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. ইব্রাহিম বাবু, এবং কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার বৃষ্টিপুর এলাকার মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে মো. মাসুদ রানা ওরফে কালা মাসুদ (৪৫)।
পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে ঘটনার সময় ৮/৯ জন সরাসরি এই ডাকাতির ঘটনায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে মূল কিলার ছিল আরিফ এবং রিপন। অন্যান্যদের মধ্যে ককটেলের বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছিল তালিম।
তিনি বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছিল এমনকি ঘটনার সময় তারা যেসব মোবাইল ব্যবহার করেছিল সেগুলোও ছিল চুরি বা ছিনতাই করা। যার কারনে চক্রটিকে ধরতে পুলিশকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
এছাড়াও জড়িতরা আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সক্রিয় সদস্য হলেও দিনে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। মূলত বিভিন্ন পেশার আড়ালে তারা তাদের ডাকাতির কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।
গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।