নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে লেনদেনে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখিতা দেখা গেছে। তবে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে গতকাল রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। গতকালের আগের কার্যদিবসের তুলনায় ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এদিকে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর কমেছে।
ডিএসইর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬ দশমিক ৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১১৫ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ দশমিক ৬৪ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৭৮ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ৪ দশমিক ৮০ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেনেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। তবে ডিএসইতে গতকাল লেনদেন আগের কার্যদিবসের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
ডিএসইর তথ্যমতে, গতকাল লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানি এবং ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিটের দর কমেছে। ডিএসইতে গতকাল মোট ৩৯৫টি কোম্পানি এবং মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১২৮টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ২০৭টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে ৬০টি ফান্ড ও কোম্পানির দর অপরিবর্তিত ছিল।
এদিকে বিভিন্ন ক্যাটেগরির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটেগরির ২১৭টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৭২টি কোম্পানি ও ফান্ডের দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ১১৬টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ২৯টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর।
একইভাবে ‘বি’ ক্যাটেগরির ৭৯টি কোম্পানি ও ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি ফান্ড ও কোম্পানির দর দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে ৫১টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ৮টি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
জেড ক্যাটেগরির ৯৯টি কোম্পানি ও ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি ফান্ড ও কোম্পানির দর বেড়েছে। এর বিপরীতে ৪০টি ফান্ড ও কোম্পানির দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ২৩টি ফান্ড ও কোম্পানির দর।
একইসঙ্গে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে বেশির ভাগ ফান্ডের ইউনিটের দরও কমেছে। লেনদেন হওয়া ৩৫টি ফান্ডের মধ্যে মাত্র ৮টি ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে, বিপরীতে ১৩টি ফান্ডের ইউনিট দর কমেছে। দিনশেষে অপরিবর্তিত ছিল ১৪টি ফান্ডের ইউনিট দর।
ডিএসইতে গতকাল মোট ১৫ কোটি ১৬ লাখ ৩৪ হাজার ৪৭৭টি শেয়ার ও ইউনিট এক লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৭ বার হাতবদল হয়েছে। এরই জের ধরে দিনশেষে ডিএসইতে মোট লেনদেন দাঁড়িয়েছে ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এই লেনদেনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে মনোস্পুল পেপারের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার। ২০ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছেÑওরিয়ন ইনফিউশন, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বিচ হ্যাচারি, সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং সোনালী পেপার।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৮৬ কোম্পানির মধ্যে ৯২টির দর বেড়েছে। বিপরীতে দর কমেছে ৬১টির এবং ৩৩টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। মোট লেনদেন হয়েছে ১৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনে বাজারের এই ইতিবাচক ধারা বজায় থাকে কি না, সেদিকেই নজর থাকবে সবার।
প্রিন্ট করুন




Discussion about this post